কে হচ্ছেন সিনেট নেতা, ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ পদে থাকছেন কারা?

Reporter Name / ১৩৩ Time View
Update : সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই সিনেটের নতুন নেতা নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এজেন্ডাগুলো কতটা আইনে পরিণত হবে সেটি ঠিক করার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ। খবর বিবিসি।

ট্রাম্প বলেছেন, বুধবার সিনেটরদের ভোটে নতুন নেতা নির্বাচিত হবেন এবং তাকে অবশ্যই তার মনোনয়নগুলো দ্রুত অনুমোদন করার আগ্রহ থাকতে হবে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে তিনি মন্ত্রিসভাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে যেসব নিয়োগ দিবেন সেগুলো সিনেটের অনুমোদন পেতে হবে।

ওদিকে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্পের সাথে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে ট্রাম্পকে ইউক্রেনকে যুদ্ধে সহায়তা থেকে পিছিয়ে না আসার জন্য বাইডেন আহবান জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এখন রিপাবলিকান পার্টির। সে কারণে বুধবার এ দল থেকেই নির্বাচিত হবেন সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা।সাধারণত গোপন ভোটে এটি হলেও এবার ভোটের আগেই উঠে আসছে ফ্লোরিডার সেনেটর রিক স্কটের নাম। গত মঙ্গলবার তিনি আরও এক মেয়াদের জন্য পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন।

এরপর থেকেই তার সহকর্মী টেক্সাসের জন করনিন এবং সাউথ ডাকোটার জন থুনের বিপরীতে তার নাম উঠে আসে। কারণ জন করনিন এবং জন থুন- দুজনের কেউই ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবিরের আস্থাভাজন ব্যক্তি নন। ফলে দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাও এখন প্রকাশ্যে স্কটের কথা বলছেন।

আলবামার টমি টিউবারভিলসহ অন্তত পাঁচজন স্কটকে সমর্থন করেছেন। রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়ার লিখেছেন ‘রিক স্কটকে ছাড়া ট্রাম্পের পুরো সংস্কার এজেন্ডা টলমল করবে’।

এছাড়া, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্ক ও মার্ক রুবিও স্কটকে সমর্থন করেছেন। সিনেটের বর্তমান রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল আগেই পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনে কারা থাকতে পারেন
প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রণ আসবে কিনা তা এখনো জানা যায়নি। এটি হলে কংগ্রেসের উভয়কক্ষই তাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনে কারা কাজ করবেন তাদের পর্যালোচনার কাজ শুরু হয়েছে।

এর মধ্যে গত সপ্তাহেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনের হোয়াইট হাউজের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসের নাম ঘোষণা করেছেন। এর বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভিবেক রামাস্বামীর নাম শোনা যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেতে প্রাইমারি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এখন দেশের শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে তার নাম তালিকায় আছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে শোনা যাবে বিলিওনিয়ার স্কট বেসেন্টের নাম। ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনে তিনি মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন। এছাড়া ট্রাম্পের অর্থনীতি সংক্রান্ত নীতি আলোচনার প্রস্তুতিতেও তিনি সহায়তা করেছেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আসতে পারেন ক্রিস্টোফার মিলার। ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার সময় তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। এখন দেশটির সামরিক বাহিনীর দেখভাল করতে তিনি আবার দায়িত্ব পেতে পারেন।

এছাড়া টম হোম্যানের নাম শোনা যাচ্ছে হোমল্যান্ড সেক্রেটারি হিসেবে। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির অন্যতম বড় সমর্থক তিনি।

সম্ভবত তিনিই পাবেন অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানো এবং সীমান্ত ‘বন্ধ’ করে দেয়ার কাজ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
deneme bonusu veren siteler - canlı bahis siteleri - casino siteleri casino siteleri deneme bonusu veren siteler canlı casino siteleri
deneme bonusu veren siteler - canlı bahis siteleri - casino siteleri casino siteleri deneme bonusu veren siteler canlı casino siteleri