themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলেছে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত চলে গণনা। গতবারের তুলনায় এবার ৫৬ লাখ ৫৪ হাজার ৪৯১ টাকা কম পাওয়া গেছে। পাগলা মসজিদের সিন্দুক খোলা কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন। সিন্দুকের টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। ৯টি দানবাক্সে পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা। পরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা। দিনভর গণনা শেষে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত পাওয়া গেছে এ টাকা। এ ছাড়াও পাওয়া গেছে বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপার অলঙ্কার।
টাকা গণনা কাজে প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও মাদ্রাসার ২৪৫ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নেন। সিন্দুক ছাড়াও প্রতিদিন দান হিসেবে পাওয়া যায় কোরআন শরীফ, হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল ও ফল-ফলাদিসহ নানা সামগ্রী। এসব সামগ্রী প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হয়।
উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো প্রতি তিন মাস পর খোলা হয়। এবার খোলা হয়েছে প্রায় চার মাস (১১৯ দিন) পর। এর আগে, গত ২০ এপ্রিল দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল ২৭ বস্তা টাকা। সে সময় গণনা করে পাওয়া গিয়েছিল ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। তখন চার মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল।