রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনিরআখড়ায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে অতিরিক্ত পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার সামনে প্রস্তুত রয়েছে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, কিছুক্ষণের মধ্যে তারা অ্যাকশনে যাবে। অন্যদিকে হানিফ ফ্লাইওভারের কুতুবখালী টোলপ্লাজায় মোটরসাইকেল ও সিএনজি পুড়িয়ে দিয়েছে আন্দোলনকরীরা। এর আগে যাত্রাবাড়ী থানায় হামলার ঘটনা ঘটে।
এর আগে, একই স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে দুই বছরের শিশু রহিত তার বাবা বাবুল হোসেনসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন সবজি বিক্রেতা মো. বাবলু (৪০) ও তার শিশু সন্তান রোহিত (২), মনিরুল ইসলাম (২০), মো. ফয়সাল (২৭), নবম শ্রেণির ছাত্র মাহিন আহমেদ পিয়াস (১৫), মো. সোহাগ (২৮)।
হাসপাতালে আহত শিশুটির মা লিপি আক্তার জানান, তাদের বাসা শনিরআখড়া এলাকায়। পাঁচতলা একটি বাড়ির নিচতলায় থাকেন তারা। তাদের বাসার সামনের রাস্তায় কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। এদিকে শিশুটি গরমের কারণে কান্নাকাটি করতে থাকায় তার বাবা রহিতকে কোলে নিয়ে বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রাস্তার পরিস্থিতি দেখছিলেন। তখন শটগানের গুলি এসে শিশুটির বাবার মুখ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। এছাড়া কোলে থাকা শিশু রহিতের ডান হাতে এবং বুকে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, শনিরআখড়া থেকে আসা আহত ছয়জনকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কোটা আন্দোলনের ঘটনায় অন্তত ৫২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে আন্দোলনকারী, ছাত্রলীগ সদস্য, পুলিশ ও সাংবাদিক রয়েছেন।