themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, গত অর্থ বছরে দেশে শুধু সারের জন্য প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল। এসব ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে নানান প্রশ্ন রয়েছে। এজন্য সারে দেওয়া ভর্তুকি নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে অপচয় রোধ ও ন্যায্য মূল্যে সার আমদানি করতে পারলে বছরে ৩ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করা সম্ভব। পর্যায়ক্রমে আরও বেশি সাশ্রয় করা যাবে।
মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের অফিস কক্ষে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি অনূবিভাগ) ড. মাহমুদুর রহমান, বিএজেএফ সভাপতি ও প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ, বিএজেএফ সাধারণ সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন, সহ-সভাপতি মো. মানিক হোসেন (মানিক মুনতাসির) সিনিয়র রিপোর্টার বাংলাদেশ প্রতিদিন, সংগাঠনিক সম্পাদক ও ডিবিসি নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আবু খালিদসহ নির্বাহী কমিটির অনান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কৃষি উপকরণ সরবরাহ, কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষা ও কৃষি পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো ও কৃষিতে টেকসই সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
কৃষি সচিব বলেন, এই মুহূর্তে দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। মজুদ দিয়ে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত কোন সংকট হবে না। পাপাইলাইনে থাকা পর্যাপ্ত সার আসতে শুরু করেছে। ফলে বোরো মৌসুমে দেশে সারের কোন সংকট হবে না বলে আশা করছি। সারের মজুদ দিয়ে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত চাহিদা মেটানো যাবে। সারে ভর্তুকি নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই ভর্তুকি থেকে অন্তত আড়াই থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।
আগামী দুই বছরের মধ্যে সারের সংকট থাকবে না জানিয়ে তিনি বলেন, সার পরিবহন ও মজুদের ব্যাপারে বড় একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার ফলে আগামী ২ বছর পর সার সংকট নামের কোন জিনিস থাকবে না। সারের অপচয় শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।
আগামী সাত দিনের মধ্যে আলুর দাম কমে আসতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আলু মৌসুমে আলু রোপনে যে সারের প্রয়োজন তা নিয়ে কৃষকের কোন চিন্তার কারণ নেই। একইসঙ্গে আলুর বীজের দাম ও সারের যোগান বিষয়ে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মিটিং করে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএজেএফ সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ সম্প্রতি প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মনোনীত হওয়ায় অভিনন্দন জানান কৃষি সচিব।