বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি হবে চব্বিশের গণবিপ্লব। এই গণবিপ্লবের চেতনাকে পাশ কাটিয়ে আমাদের দল এবং কোনো দল যেন ভিন্ন পথে হাঁটার চিন্তা না করেন। যারা হাঁটবেন তাদেরকেও স্বৈরাচারের রাস্তা ধরতে হবে। তার পরিণতিতে সেখানেই পৌঁছতে হবে।
শুক্রবার সকালে গাজীপুরের একটি কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলার শাখার উদ্যোগে সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমি আমার দলকেও সতর্ক করছি এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আমি সতর্ক করছি। জনগণের চেতনার বিপক্ষে আমরা কেউ যেন না দাঁড়াই। আমাদেরকে অবশ্যই জনগণের পক্ষে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। জনগণের ন্যায্য দাবি যদি থাকে, সেই দাবিতে পাশ কাটানোর চেষ্টা বা দুঃসাহস আমরা যেন কেউ না দেখাই। কিন্তু যদি জনগণের মধ্য থেকে কোনো একটি বিশেষ মহল জাতিকে প্রতারিত করার জন্য কিছু নিয়ে আসে, সেক্ষেত্রেও আমাদের ঐক্য থাকবে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য, এ জায়গায় কোনো ছাড় নেই।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, আমাদের কলিজার টুকরো ছেলে-মেয়েদের প্রধান স্লোগান ছিল ‘আমরা সুবিচার চাই’। সুবিচার যে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে, সেখানে সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করার কোনো সুযোগ নেই। যেখানে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হবে, সেখানে ঘুষের রমরমা বাণিজ্য চলবে না। আগের সরকারের মন্ত্রীরা এমনকি অর্থমন্ত্রী পর্যন্ত এক সময় বললেন—ঘুষকে এখন আর ঘুষ বলা ঠিক হবে না, এটাকে স্পিড মানি বলতে হবে। লজ্জা, লজ্জা—তারা ঘুষকে এভাবে জাতীয়করণ করেছিলেন ঘোষণা দিয়ে। আর একজন বললেন, আমার মন্ত্রণালয়ে তোমরা ঘুষ খাবে, তবে একটু কম করে খাইও। আমরা এক বিচিত্র সংসদ এবং সরকার পেয়েছিলাম। সেই সংসদ এবং সরকার জনগণের জন্য ছিল না। সেখানে ব্যক্তি বন্দনায় নেচে গেয়ে জনগণের টাকা নষ্ট করা হতো।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলা শাখার আমীর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলন সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন। এতে গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর আবুল হাসেম খান, গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহা. জামাল উদ্দীনসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে গাজীপুর জেলা জামাতের সদস্য (রুকন) ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।