themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ১১ লাখ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে; রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে। যতদিন পর্যন্ত একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারছে, যে কমিশন সব দলের সব মতের আস্থা অর্জন করতে পারছে, যতদিন পর্যন্ত বিচার ব্যবস্থা, সংসদ, সংবিধান ন্যায্যতার ভিত্তিতে সংস্কার হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করুক।’
সোমবার বিকেলে খাগড়াছড়ি টাউন হলে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র নাগরিকের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সারা দেশে জনমত গঠনের অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি সফরে আসেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়ে গেছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষমতামুখী না হয়ে জনমুখী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ছাত্র আন্দোলনের এ নেতা শেখ হাসিনাকে মুনিব উল্লেখ করে বলেন, একটি সিস্টেমের যিনি মুনিব সেই মুনিবকে গণভবন থেকে উৎখাত করে আমরা সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু মুনিবের যারা দোসর ছিল তারা আপনার আশেপাশে ঘুরছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা, সব স্তরে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দেওয়া উচিত। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে পুঁজি করে যারা আবারও চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী আর সিন্ডিকেট করতে চান; তাদের এ সুযোগ আর দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এর আগে সভা শুরু হলে ছাত্রদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় বিশৃঙ্খলা ও মারামারির পরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বক্তব্য দেন।