themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121ভয়াবহ বন্যার পানিতে এখনও ফেনীর প্রায় ১২টি গ্রামের মানুষ পানিবন্ধী রয়েছেন। এসব গ্রামের সড়কসহ বাড়িঘর এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানির তোড়ে মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ায় দৈনিক ২ বার জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। একারণে ফেনীর সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু গ্রাম থেকে থেকে পানি ঠিকমতো নামছে না। পানি দৈনিক ৫ থেকে ৬ ইঞ্চির বেশি নামছে না বলে স্থানীরা জানান।
এখনও পানির নিচে তলিয়ে আছে ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের উত্তর ও দক্ষিণ আবুপুর, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের রতনপুর, ডুমরগা, দাগনভূঞা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হায়াতপুর, রশিদপুর, ধর্মপুর, ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের চন্ডীপুর, বরইয়া, পূর্ব চন্দুপুর ইউনিয়নের আমুভূঞার হাট, মিঠাকুয়া, রাজাপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রাম।
দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দী থাকায় এসব গ্রামের বাসিন্দারা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। বন্যায় জেলার হাজার হাজার ঘর বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ও কিছু ঘর-বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব গ্রামের গ্রামীণ সড়কসহ বাড়িঘর এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দী থাকায় এসব গ্রামের বাসিন্দারা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে ভুগছেন অনেকেই। নিজের ঘরে পাক করতে না পারায় অনেককে এখনও সাহায্যের খাবারের উপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে।
এই মুহূর্তে জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে স্থানীয়রা খাল, নালা দখলসহ যত্রতত্র মাছের ঘেরের নামে জমিতে বাঁধ দেয়াকে দুষছেন।
স্থানীয়রা সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ি মেরামত ও আসবাবপত্র ক্রয় করার জন্য সহযোগিতা কামনা করছেন। বন্যায় জেলায় মোট ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ দুর্যোগের শিকার হয়েছেন।