themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114র্যাগিংয়ের প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীকে হলের কক্ষে আটকে নির্যাতন করায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়াও এক শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়।
শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি এ সুপারিশ করে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া দুই শিক্ষার্থী হলো-ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের ছাত্র তানজিদুল হক মঞ্জু ও একই বিভাগের একই বর্ষের ছাত্র শিহাব উদ্দিন পাটোয়ারী রিফাত। এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী হলো-ইংরেজী বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী আহাদ খান রাফি।
রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুকুল আহমেদকে গত বছরের ১২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু হলের একটি কক্ষে আটকে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৫ অক্টোবর শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা কমিটিতে অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শনিবার রাতে দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল এবং অপর এক শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করার সিদ্বান্ত হয়েছে।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থী মুকুল আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ১০ম ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের র্যাগ দেয়। এতে ১০ম ব্যাচের উপর চাপ আসতে পারে। তাই আমি আমাদের ১০ম ব্যাচের মেসেঞ্জার গ্রুপে লিখি কিছু কিছু শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের ব্যাচের বদনাম হবে, এটা হতে পারে না।
মেসেঞ্জার গ্রুপে লেখার কারণে গত ১২ অক্টোবর তানজিদুল হক মঞ্জু তাকে তুলে বঙ্গবন্ধু হলের একটি কক্ষে নেয়। সেখানে নিয়ে তাকে বেধরকভাবে মারধর করে। এতে তার একটি হাত ভেঙে যায়। এ ছাড়া অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। পরে তার রুমমেটরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
দীর্ঘদিন পরে বিচার পেয়ে খুশি মুকুল বলেন, আমি সেদিন মরেও যেতে পারতাম। আর এ ঘটনার বিচার না হলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো। হয়তো কারোর জীবন চলে যেতো।