themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেছেন, ‘এ দেশের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসার ব্যয় কমানো গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, চিকিৎসা খরচ বহন করতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫০ লাখ মানুষ গরীব হয়ে যায়।’
রবিবার সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের (বিএসএনএস) তিনদিন ব্যাপী চতুর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদুল হক, সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান খান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সভা বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ডা. মাঈনুল হক সরকারসহ দেশি-বিদেশি ৩০০ জনের অধিক নিউরোসার্জন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশাল। ফলে রোগীও প্রচুর। অনেক উন্নত দেশের আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে, কিন্তু রোগী কম। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র আলাদা। সে হিসেবে আমাদের দেশের এ অঙ্গনে আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া বাকি। আন্তর্জাতিক একটি জার্নালে দেখা গেছে, এ দেশের এক শতাংশ সার্জারী রোগী ভিক্ষা করে টাকা আনেন। ১২ শতাংশ রোগী টাকা আনেন চক্রবৃদ্ধি সুদে। তারা সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করা ছাড়া কোনো দিনই সে টাকা শোধ করতে পারে না। তাই এ দেশের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসার ব্যয় কমানো গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, দেশের চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন এবং চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও নিউরোসার্জারিসহ নানাখাতে চিকিৎসকরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এখন পিছিয়ে থাকলেও নিউরো অ্যান্ড স্পেইন সার্জারিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা উন্নত করার জন্য সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসকরা আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে নিয়মিত যুক্ত হচ্ছেন এবং চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আশা করি, এক সময় দেশের চিকিৎসা খাত আধুনিক হবে এবং মানুষের আস্থা ভরসায় পরিণত হবে।
তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিএসএনএসের পক্ষ থেকে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, লাইভ সার্জারি, থ্রিডি অ্যানাটমি সেশন এবং অ্যান্ডো ভাস্কুলার সিমুলেশন ইত্যাদি কর্মশালা ব্যবস্থা করা হয়েছে।