themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘ছোট ছোট দুর্নীতি হলে আমরা আগে খবর পাই। কিন্তু সমঝোতার মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয় অর্থাৎ বড় দুর্নীতি, সেটার অভিযোগই হয় না। ঠিকাদার, দপ্তর প্রধান কিংবা সাংবাদিক তারা খবর দেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আবেদন থাকবে, বড় দুর্নীতির নিউজ যেন বেশি বেশি সামনে আসে। দুর্নীতির খবর বেশি আসুক তাতে কোনো সমস্যা নেই। আমরা যেন দুর্নীতির খবর ধামাচাপা না দেই, না লুকাই। জেলা প্রশাসকরা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, তারা এটা নিয়ে কাজ করবেন।’
আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ ও সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেক জেলায় জেলায় কার্যালয় নেই। সেটা সত্যি। বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির সম্মুখীন হই, সেটা কমাবো কীভাবে সেটাই বড় প্রশ্ন। আমাদের সামনে এ ধরনের সংকটের কথা এসেছে। প্রধান উপদেষ্টার গতকালের ভাষণের বড় একটা অংশ ছিল দুর্নীতি। আজকের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে সবচেয়ে বড় বার্তা ছিল পিছনের দুর্নীতি দমনের চেয়ে, সামনে যেন দুর্নীতি না হয়, আজ সেই বার্তা দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বর্তমানের দুর্নীতি যেন বন্ধ করতে পারি, পুরোনোগুলোর তদন্ত ও বিচারকাজ স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারি। দুদক মূলত ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ সময় ব্যয় করে পুরোনো দুর্নীতি নিয়ে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, পুরোনো দুর্নীতি নিয়ে ২০ শতাংশ, বর্তমানের দুর্নীতি নিয়ে ৩০ শতাংশ এবং ভবিষ্যতের দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্য ৫০ শতাংশ ব্যয় করা উচিত। আমরা এই নির্দেশনা গ্রহণ করেছি। ওই নির্দেশনা জেলা প্রশাসকদেরও দিয়েছি। কারণ জেলা প্রশাসক হচ্ছেন মাঠ পর্যায়ে প্রধান কর্মকর্তা। ঘটনা যেখানেই ঘটুক, জেলা প্রশাসকের কাছেই আগে জানতে চাওয়া হয়। আবার দুর্নীতির প্রসঙ্গ এলে জেলা প্রশাসককেই জবাবদিহি করতে হয়।’