themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘স্বৈরাচারের মাথাটা পালিয়ে গেছে। কিন্তু স্বৈরাচারের কিছু কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে বাংলাদেশে। যে কোনো সময় তারা ভিন্ন আঙিকে মাথাচারা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। যদি দেশকে রক্ষা করতে হয়, দেশের মানুষেকে রক্ষা করতে হয় তাহলে ঐক্যের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যত মানুষ প্রতিবাদ করেছে প্রত্যেকটি মানুষ অত্যাচারিত হয়েছে।’
আজ শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মত পার্থক্য থাকতে পারে, যারা আমরা দেশের জন্য কাজ করতে চাই দিন শেষে আমরা এক। আমাদের সামনে প্রচুর কাজ, দেশকে পুনর্গঠনের কাজ। আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বেকারত্ব দূরীকরণ, কৃষি ও শিল্পখাতে উন্নয়নে ৩১ দফায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আমরা কৃষককে ন্যায্যমূল্য দিতে চাই। তবে লাগমহীন দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি যেন জনগণের মধ্যে নাভিশ্বাসের কারণ না হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অচল কল-কারখানাগুলোকে সচল করতে হবে। আমাদের অসংখ্য নদ নদী ও খাল ভরাট হয়ে গেছে। এগুলো খনন করতে হবে। আগামী দিনে সংসদের মেয়াদ কত হবে, সংখ্যা কত হবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই বিতর্ক থাকতেই পারে। দিন শেষে আমরা এগুলো জনগণের ওপর ছেড়ে দিব। এই নিয়ে মাত্রতিরিক্ত বিতর্ক রাষ্ট্র মেরামতের কাজকে বিঘ্নিত করবে। তবে এর একমাত্র উপায় হলো জাতীয় নির্বাচন। জনগণের ভোটের মাধ্যমে এর ফয়সালা হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না। জবাবদিহি ছিল না। অস্ত্রের মুখে সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমরা ডামি নির্বাচন, ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেখিছি। উন্নয়নের নাম করে সামান্য জিনিস দৃশ্যমান করা হলেও এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। রাষ্ট্র্রের প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। এই দলের কর্মী হিসেবে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতিকে পথ দেখাতে হবে। শুধু আমাদের দলই নয় দেশের যে সকল রাজনৈতিক দল যাদের এজেন্ডা দেশ ও দেশের মানুষ, তাদের সাথে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, এটাই হোক এই সম্মেলনের প্রতিজ্ঞা ও শপথ।’
এতে উদ্বোধকের বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক আহম্মেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সায়েদুল হক সাইদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মো. শামীম, সালাউদ্দিন শিশির, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও জেলা বিএনপি নেতা মো. কবির আহম্মেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।
এদিকে, দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর জেলা বিএনপির এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলার সর্বত্রই ছিল উৎসবের আমেজ। শনিবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন রং-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টার আগেই দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।