themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সারাব এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ হওয়া ১৬টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কর্মহীন শ্রমিকেরা। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক সংলগ্ন চক্রবর্তী ও আশপাশের এলাকায় শ্রমিকদের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এসব কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কয়েক দফায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। সর্বশেষ গত ২১ ডিসেম্বর বিক্ষোভে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তারা আর কোনও বিক্ষোভ না করে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য শ্রমিকেরা লিফলেটও বিতরণ করেন। আগের ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। মানববন্ধনটি আশুলিয়ার জিরানি হয়ে নবীনগর এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
জিরানি বাজার এলাকায় অবস্থান করা ‘টিম লিডার’ ও কারখানাটির শ্রমিক হাবিবুর রহমান বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সব কারখানার ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার পাশাপাশি অন্যান্য বকেয়াগুলো দিতে হবে। আমাদের দাবি আদায় না হলে পুনরায় নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু তালেব বলেন, বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানা প্রায় এক মাস আগে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সালমান গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানায় আর্থিক সংকট দেখা দেয়। বেতন না পেয়ে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা।
কয়েক মাস এভাবে চলার পর ১৫ ডিসেম্বর এক নোটিশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। নোটিশে বন্ধের কারণ হিসেবে বলা হয়, কারখানাগুলোতে অর্ডার না থাকা এবং ঋণখেলাপি থাকায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।