themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম হয়েছে রাজধানীর পুরান ঢাকার তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। রাজধানীর ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়েছেন বেসরকারি ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে। এতে অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। হামলায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কারসহ পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর ও কলেজের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা জানান, পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) এক শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলদারের (১৮) মৃত্যুকে কেন্দ্র্র করে ওই হাসপাতালের সামনে বুধবার থেকে বিক্ষোভ করছিলেন ডিএমআরসি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে।
এ হামলার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে ডিএমআরসি কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, নটর ডেম কলেজসহ ঢাকার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা করেন। পরে উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। দিনভর থেমে থেমে চলতে থাকে এই সংঘর্ষ। একপর্যায়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিক্ষোভকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজ (গতকাল) সকালে ডিএমআরসি ও আশপাশের কলেজগুলো ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে বিক্ষোভ করতে গেলে কবি নজরুলের শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়। পরে আমরা সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের হামলার জবাবে তাদের প্রতিহত করি। এতে এখন পর্যন্ত আমাদের প্রায় ২৫-৩০ জন আহত হয়েছে।’ জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছু হটলে অপর পক্ষের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ঢুকে পড়েন। এ সময় কলেজটিতে অনার্স প্রথম বর্ষের ইতিহাস পরীক্ষা চলছিল। কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা এই কলেজে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ (গতকাল) পরীক্ষা ছিল। গতকাল (শনিবার) রাতে ডিএমআরসি কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছিল যে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কিছু হবে না। কিন্তু আজ (গতকাল) দুপুর সোয়া ১টায় কিছু বোঝার আগেই সিসিটিভিতে দেখি প্রচুর ছেলেমেয়ে এসেছে। গেট ভেঙে ঢুকেছে। ইচ্ছামতো ভাঙচুর করেছে, গাড়ি ভাঙচুর করেছে। গ্যাস লাইন ছিঁড়ে দিয়েছে।’ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ন্যাশনাল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ডিএমআরসি কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আপাতত ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।’ কবি নজরুল সরকারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘ওই কলেজের প্রিন্সিপাল ও আমাদের প্রিন্সিপাল একটা সমঝোতায় আসছিল। আমরা আশ্বস্ত ছিলাম যে এমন কিছু হবে না। কিন্তু তারা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে।’