themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114প্রতি চার বছর পরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর এই নির্বাচনের দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয় নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবারকে। আর এই দিনেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে মার্কিনীরা। এ বছরও দেখা যাচ্ছে তেমনটিই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। আগামীকাল মঙ্গলবারই ভোট গ্রহণ শেষে জানা যাবে কে হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট। নির্বাচন নিয়ে যখন জনমনে আগ্রহের কমতি নেই। তখন জেনে নেওয়া যাক, কেন প্রতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হিসেবে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবারকেই বেছে নেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত ভোটের জন্য কোনো আলাদা দিন ছিল না। একেক অঙ্গরাজ্যে একেক দিন ভোট হতো। তখন অঙ্গরাজ্যগুলোই তাদের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করত। একই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনটি পাস হয় ১৮৪৫ সালে।
শুরুর দিকে ফেডারেল আইনের অধীনে ইলেকটোরাল কলেজের নির্বাচকদের ডিসেম্বরের প্রথম বুধবার পৃথক রাজ্যে মিলিত হওয়ার রীতি ছিল। ১৭৯২ সালের ফেডারেল আইন অনুসারে, রাজ্যগুলোর নির্বাচন সেই দিনের আগে ৩৪ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার নিয়ম চালু হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা নির্ধারিত হয় ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ এর মাধ্যমে। এই ব্যবস্থায় ৫৩৮ জন ইলেক্টর নির্বাচিত হন। তারাই শেষে নির্ধারণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।
একই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইন যখন পাস হয়, তখন যুক্তরাষ্ট্রে ছিল কৃষিভিত্তিক সমাজ। যার কারণে কৃষকদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণে বড় ভূমিকা রেখেছে। বছরের অন্য সময় ব্যস্ত থাকলেও নভেম্বরের শুরুতে কৃষকের ঘরে ফসল উঠে যায়। আর আবহাওয়াও বেশ অনুকূল থাকে। যার কারণে কৃষকের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নভেম্বরকে বেছে নেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন দিনে যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো তখন যোগাযোগব্যবস্থা এত উন্নত ছিল। ১৮৪০ সালে রেলপথ নির্মাণের কারণে ডাক ও সংবাদপত্র পরিবহন অনেক দ্রুততর হয়ে ওঠে। দূর যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেলিগ্রাফ প্রযুক্তি চলে আসার পর এক রাজ্যের নির্বাচনের ফল অন্য রাজ্যের ভোটকে প্রভাবিত করতে শুরু করে। তাই ১৮৪০ দশকের শুরুর দিকে কংগ্রেস সারা দেশে নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য একটি একক দিন নির্ধারণ করে।
১ নভেম্বর তারিখটি এড়ানোর জন্যই মূলত প্রথম সোমবারের পর প্রথম মঙ্গলবারকে বেছে নেওয়া। কারণ ১ নভেম্বর খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা ‘অল সেইন্টস ডে’ পালন করে। অপরদিকে অধিকাংশ আমেরিকানের জন্য রবিবার হলো উপাসনার দিন। আবার অনেক স্থানে বুধবার ছিল বাজারের দিন। এদিন কৃষকরা তাদের ফসল নিয়ে শহরে বিক্রি করতে যেত। এ ছাড়া গ্রামীণ এলাকায় নিকটতম ভোটকেন্দ্র পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যেত। তাই যাতায়াত সুবিধার জন্য সোমবারকে হাতে রেখে মঙ্গলবারকে ভোট দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।