themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114সরকারপ্রধানের সঙ্গে দেখা করা নারী ফুটবলারদের কাছে নতুন কিছু নয়। এর আগে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কিংবা জাতীয় দল শিরোপা জেতায় মেয়েদের সংবর্ধনা জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবার টানা দ্বিতীয়বার সাফজয়ী নারী জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা জানিয়েছেন। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দক্ষিণ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা নারী ফুটবলারদের নানা সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনেছেন। অনুষ্ঠানটি ছিল পুরোপুরি ব্যতিক্রম। কেননা এর আগে মেয়েরা সরকারপ্রধানের সঙ্গে দেখা করলে দেখা যেত খেলোয়াড়ের চেয়ে কর্মকর্তার উপস্থিতি বেশি। ফটোসেশনের সময় কর্মকর্তারা এমনভাবে সামনে এসে দাঁড়াতেন যে মেয়ে ফুটবলারদের গুরুত্বই থাকত না। মনে হতো সংবর্ধনাটি ছিল কর্মকর্তাদের ঘিরে। গতকাল যমুনায় কোনো কর্মকর্তাই ছিলেন না। যাঁরা সাফল্য এনে দিয়েছেন তাঁদের সঙ্গেই মন খুলে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। খেলোয়াড়দের বাইরে উপস্থিত ছিলেন কোচ ও ম্যানেজার। তাঁরা তো দলেরই অংশ। গত ১৬ বছরে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ডুবে ছিল দেশ। ক্রীড়াঙ্গন এর বাইরে ছিল না। জাতীয় দল ও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে মেয়েরা দেশকে গৌরবে ভাসালেও অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত ছিলেন। কাজী সালাউদ্দিনের কমিটি লাখ লাখ টাকা ব্যয় করলেও নারী ফুটবলারদের বেতনটাও দেওয়া হতো না ঠিকমতো। বলা হতো ফান্ডে টাকা নেই। প্রধান উপদেষ্টা মেয়েদের মুখ দিয়েই শুনতে চেয়েছেন সমস্যার কথা। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্যের শুরুতেই খেলোয়াড়দের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সাফল্যে জাতি গর্বিত। আমি সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।’ নারী জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন সংবর্ধনা আয়োজন করার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে নিজেরা সম্মানিত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
সাবিনা বলেন, ‘অনেক বাধা অতিক্রম করে আমরা এ পর্যায়ে এসেছি। শুধু নারী ফুটবল দলই নয়, বাংলাদেশের মেয়েরা অনেক সংগ্রামের মুখোমুখি হয়।’ এ সময় কয়েকজন সতীর্থের সমস্যার কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অধিনায়ক। প্রধান উপদেষ্টা সাবিনাসহ অন্য খেলোয়াড়দের কথা মনোযোগসহকারে শোনেন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।