themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ যে মতাদর্শ ও যে প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করেছে, তাতে আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে, তা গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল হবে। অবশ্যই আমরা আমাদের জীবন থাকতে তা হতে দেব না।
বুধবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘গণঅভ্যুত্থানের সরকার, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পদত্যাগ করেননি, এটা আমাদের সবার কাছে স্পষ্ট। তার পতন হয়েছে, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা। যে দলকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, সেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার থাকবে কিনা, এ নিয়ে কোনো দ্বীধার অবকাশ নেই। আমরা যদি বলি আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট দল, তাহলে একটি ফ্যাসিস্ট দল গণতান্ত্রিক কাঠামোতে কীভাবে রাজনীতি করতে পারে?
তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় থেকে ফ্যাসিবাদের সূত্রপাত ঘটে। সেই সময় থেকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের পর থেকে ছাত্র নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে জুলাই আন্দোলনের। সরকার এটিকে রাজনৈতিকভাবে দমন করতে চেয়েছিল। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হলে জনগণ রুখে দাঁড়ায়। যখন আমাদের ‘রাজাকার’ বলা হয়, তখন শিক্ষার্থীদের আত্মমর্যাদায় আঘাত লাগে। ফলে আমরা যে লড়াই করেছি, তা আমাদের মর্যাদা রক্ষার লড়াই।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে পাওয়া অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অনেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তুলনা করছেন। আমি মনে করি এটি সম্পূর্ণ ভুল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি নির্ধারিত সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করে এবং ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনপ্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু এবারকার সরকার গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণে সংস্কার করে যেতে না পারলে, আমাদের গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা মসৃণ হবে না। তাই আমাদের কিছু মৌলিক সংস্কার করতে হবে।
আলোচনা সভায় জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।