themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114হিজবুল্লাহকে দমাতে ইসরায়েলের আক্রমণ শুরুর পর থেকে যুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু করেছে দক্ষিণ লেবাননে। ক্রমাগত বিমান হামলা চালিয়েও সেখানে সামরিক অভিযান থামাচ্ছে না ইসরায়েল। এর মধ্যে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের আবারও সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটি। একইসঙ্গে ওই অঞ্চলে আহত বেসামরিক নাগরিকদের সেবায় ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্সকেও লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছে তারা।
রোববার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
শনিবার দক্ষিণ লেবাননের ২৩টি গ্রামের বাসিন্দাদের পশ্চিম বেকা উপত্যকা থেকে ভূমধ্যসাগরে প্রবাহিত আওয়ালি নদীর উত্তরের অঞ্চলে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
একটি সামরিক বিবৃতির মাধ্যমে পাঠানো এই আদেশে দক্ষিণ লেবাননের এমন গ্রামগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলো ইসরায়েলি আক্রমণের সাম্প্রতিক সময়ে হামলা হয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলো ইতোমধ্যে প্রায় খালি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, হিজবুল্লাহর সদস্যরা নিজেদের এবং অস্ত্র পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছে।
তাই লেবাননে কর্মরত মেডিকেল টিমকে ‘হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে এবং তাদের সঙ্গে সহযোগিতা না করার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল।
সামাজিক মাধ্যম এক্স-এর একটি পোস্টে হুমকি দিয়ে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র বলেছেন, সশস্ত্র লোকদের বহনকারী যেকোনো গাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে এক বছরের সীমান্ত সংঘর্ষের পর, এখন লেবাননের অভ্যন্তরে ইসরায়েলি আক্রমণ ক্রমাগত বেড়েই চলছে। গোষ্ঠীটি মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের মদদে গড়ে ওঠা সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র সংগঠন। গাজায় হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালিয়ে আসছিল হিজবুল্লাহ।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানি কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোওশানকে দক্ষিণ লেবাননের দাহিয়ায় হত্যা করে ইসরায়েল। নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার তিন দিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর সীমান্ত দিয়ে ঢুকে স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা।
তেল আবিব বলে আসছে, হিজবুল্লাহর হামলার ভয়ে উত্তর ইসরায়েলের অন্তত ৬০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে ঘরে ফেরাতে যেকোনো মূল্যে হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাবে তারা।