themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, পরিবহন সেক্টরকে চাঁদাবাজ মুক্ত করে পরিবহন খাতকে কল্যাণমূলক খাতে পরিণত করতে হবে। পরিবহন শ্রমিকদের কর্মজীবন শেষে পেনশন ভাতা ও স্বাস্থ্য ভাতা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্র জনতা একটি কল্যাণমুখী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য জীবন দিয়েছে। কোনো মাফিয়াতন্ত্র, চাঁদাবাজির জন্য ছাত্রজনতা জীবন দেয়নি। কোথাও কোনো চাঁদাাবজি, দখলদারিত্ব চলবে না, এসব হতে দেওয়া হবে না। পরিবহন খাতে যাত্রাবাড়ী, গাবতলি, মহাখালীতে যেসব চাঁদাবাজির দোকান ছিলো সেগুলো বন্ধ করতে হবে। যেখানেই চাঁদাবাজদের দেখবেন তাদের ধরে হাত ভেঙে দিবেন আপনারা।
আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সড়ক পরিবহনে নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজী বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ, পরিবহন ইউনিট এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এসময় নুর আরো বলেন, আমরা সাংবাদিক, পরিবহন মালিকসহ সবার সাথে বসবো কোথাও কোন অনিয়ম হতে দেওয়া হবে না। গত কয়েক বছর সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছে, চাকরি হারিয়েছে। সেসব বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে হবে। সংবাদপত্রের অফিস, টেলিভিশন দখল চলবে না। এসবের জন্য এই বিপ্লব হয়নি।
এই সরকার কোনো রাজনৈতিক সরকার নয়, এটা ছাত্রজনতার ম্যান্টেট গঠিত সরকার, এখানে রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি নাই, তাই সরকারকে আরও বেশি কার্যকর করার জন্য গণঅধিকার পরিষদ, বিএনপি, জামায়াতসহ একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের পরামর্শ অনুযায়ী যোগ্য ও দক্ষ আরও ১০ জনকে যুক্ত করার আহ্বান করছি। মনে রাখতে হবে এই ছাত্র জনতার আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোরও ভূমিকা যথেষ্ট ভূমিকা ছিলো।তাই দেশকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে হলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে হবে।
সভায় প্রধান বক্তা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মেজর জেনারেল আমসা আমিন বলেন, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দলবাজ, লাঠিয়ালবাজের কোনো স্থান পরিবহন সেক্টরে হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করে শুধু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানই শেষ করেনি শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নগুলোও ধ্বংস করেছে।
বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিভিন্ন পর্যায়ের পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও পরিবহন মালিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।