বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, জনগণকে গণতন্ত্র ও ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে কোনো হুংকারেই আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র যদি থাকে, সংস্কার বাস্তবায়ন হবে, বিচার হবে, লুণ্ঠনকৃত অর্থ ফেরত আসবে, আজকে যে মব সন্ত্রাস করা হচ্ছে সেটি বন্ধ হবে এবং সর্বোপরি বাংলার মাটিতে স্বৈরাচারের বিচার হবে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিনাজপুরের বাংলাহিলি সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের হলরুমে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বিভিন্নভাবে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করা হচ্ছে, এখনো ঐকমত্যের পরিসরে আলোচনা চলছে এবং উপদেষ্টারা সবাই মিলে আলোচনা করছেন। কিন্তু কেউ কেউ রাজপথে নামার হুংকার দিচ্ছে। হুংকার দেওয়া কোনো সমস্যা নয়, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে হুংকার দিয়েও পারেন; কিন্তু আমরা জানি, আমরা জনগণকে যদি গণতন্ত্রের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঐকমত করতে পারি, তাহলে কোনো হুংকারেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। কারণ মনে রাখতে হবে, শেষ বিচারে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে —কারা কার সঙ্গে থাকবে, কার দিকে যাবে; জনগণ ভোটাধিকারের মাধ্যমে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করবে।
তিনি বলেন, জনগণ দেশের মালিকানা চায়, জনগণ তাদের অধিকার চায়, জনগণ অন্যায় ও অত্যাচারের বিচার চায়, জনগণ লুণ্ঠিত অর্থ ফেরত আনতে চায় এবং আমাদের ওপর পাখির মতো গুলি করে যে সমস্ত ভাইদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে সেসব হত্যার বিচার চায়। কাজেই জনগণ কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনকে কলঙ্কিত করে, বিচার প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করে, সেই বিচার ব্যবস্থা কলঙ্কিত করে, স্বৈরাচারের পুনর্বাসন চায় না।
সভায় উপস্থিত ছিলেন হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শিল্পী, সিনিয়র সহসভাপতি মো. শাহিন মন্ডল, যুগ্ম সম্পাদক রেজা আহমেদ বিপুলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সভায় স্থানীয় নেতারা দলের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক নানা বিষয় তুলে ধরেন এবং দলকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন প্রস্তাব দেন।