সার্বিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর সরকারের রোষে পড়েছিলেন ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী এ তারকা। সম্ভাবনা সত্যি করে এবার সার্বিয়া ছেড়েই চলে গেলেন তিনি। একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গ্রিসে থাকা শুরু করেছেন জোকোভিচ। এমনকি দুই ছেলেমেয়েকেও সেখানকার স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছেন। ইংল্যান্ডের ‘দ্য ডেইলি মেইল’ জানিয়েছে, জোকোভিচ কিছু দিন আগে থেকেই গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে থাকা শুরু করেছেন। ছেলে স্টেফান এবং মেয়ে তারাকে এথেন্সের সেন্ট লরেন্স কলেজে ভর্তি করে দিয়েছেন। শহরের দক্ষিণের একটি এলাকায় বাড়িও কিনে ফেলেছেন। সম্প্রতি এথেন্সের কাভুরি টেনিস ক্লাবে ছেলের সঙ্গে খেলতে দেখা গেছে জোকোভিচকে। গত বছরের ডিসেম্বরে সার্বিয়ার নোভি সাদের রেলস্টেশনে একটি ক্যানোপি ভেঙে পড়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। তার পরেই দুর্নীতির অভিযোগ এনে দেশের ছাত্ররা সরকার বদলের জন্য আন্দোলন শুরু করেন। সেই প্রেসিডেন্ট বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করছেন জোকোভিচ। প্রথম থেকেই তিনি আন্দোলনের সমর্থক। এক্সে জোকোভিচ লিখেছিলেন, ‘সার্বিয়ার সম্ভাবনা অনেক বিশাল, আর শিক্ষিত তরুণরাই সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের যা দরকার, তা হলো বোঝাপড়া আর সম্মান। আপনাদের সঙ্গেই আছি, নোভাক।’ ফলে সার্বিয়া প্রশাসনের চোখে তিনি এখন ‘শত্রু’। সব মিলিয়ে এটা স্পষ্ট যে, দেশের ভিতরে রাজনৈতিক চাপ ও নেতিবাচক প্রচারণার মুখে জোকোভিচ এখন নতুন জীবন খুঁজে নিচ্ছেন গ্রিসে।