themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার অষ্টম বার্ষিকীতে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সংস্থাটি ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও তাদের অধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংহতি এবং টেকসই সমাধানের জন্য আবারও আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ওআইসি রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেছে, তারা এখনো নিপীড়ন, রাষ্ট্রহীনতা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির শিকার হচ্ছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা এখনো বাংলাদেশ ও অন্যান্য আশ্রয়দানকারী দেশে শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে। মিয়ানমারেও হাজার হাজার মানুষ হত্যাকাণ্ড, সীমাহীন বৈষম্য ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন।
ওআইসি আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলোর প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) চলমান মামলা, যা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার কাজ করছে।
সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, সংঘাতের সব পক্ষ-বিশেষ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মিকে আইসিজের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা মেনে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার উদারতার প্রশংসা করা হয় এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বহু মুসলিম দেশের মানবিক সহায়তাকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে, ওআইসি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সংকটের মূল কারণগুলো নিরসনে আন্তর্জাতিক সংহতি ও সমন্বিত পদক্ষেপ জোরদার করতে হবে এবং একটি সমন্বিত, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের দিকে এগুতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, আজকের এই স্মরণীয় দিনে ওআইসি রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহস ও দৃঢ়তার প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এবং তাদের অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।