themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য গঠনে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আজ আলোচনার বিষয় ছিল সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির মধ্যে কী সংশোধনী আনা যায়? এতে বিচার বিভাগকে না রেখে উত্তম কোনো প্রস্তাব আছে কি না? সে বিষয়ে সবার মতামত নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে আমি প্রস্তাব করেছিলাম। যেটিতে সবাই একমত, আর্টিকেল ১১৯ -এ দেওয়া আছে। তবে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণে একটি বডি বা বিশেষায়িত কমিশন করার প্রস্তাবে দ্বিমত রয়েছে। কিন্তু বলেছি, বিশেষায়িত কমিটি করতে হবে। আইন সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে আমরা একমত হয়েছি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, পুনর্বহালের রিভিউ বিচারাধীন অবস্থায় আছে। আশা করি রায় জনগণের পক্ষে যাবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন প্রণালীতে দেখা যায়, এটি জুডিসিয়ারির মধ্যে সীমাবদ্ধ। ইমিডিয়েটলি অবসরপ্রাপ্ত চিফ জাস্টিস দিয়ে শুরু হয়, সর্বশেষ আপিল বিভাগ দিয়ে শেষ হয়। কোনো বিধান দিয়ে একমত না হলে সর্বশেষ রাষ্ট্রপতিকে করা হয়। সংসদে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে এখন যদি আমরা জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে বলতে পারি, জুডিসিয়ারিকে বাদ রেখে আরও দু-একটি পথ রাখা যায়, যাতে সবার গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ হবেন এবং প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শক্রমে উপদেষ্টারা নিয়োগ পাবেন। যাদের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় যোগ্যতা থাকবে তাদের বিবেচনা করা যায়।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা তো অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি। অর্থবিল আর আস্থাভোট ছাড়া বাকি বিষয়ে সংসদ সদস্যরা স্বাধীন থাকবেন। এ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন।
‘বিএনপির কারণে সংস্কারে ঐকমত্য হচ্ছে না’- এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জাতির সঙ্গে একটা ঐকমত্যে আসার জন্য নিজ উদ্যোগে আমরা কারও জীবদ্দশায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছরের বেশি নয়- এ বিষয়ে একমত হয়েছি, যাতে আর কেউ স্বৈরাচার হয়ে না আসতে পারে। একটা ভারসাম্য যাতে সরকার ব্যবস্থায় হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদের ক্ষেত্রে বিএনপি প্রস্তাব দিয়েছে তিনমাস বা ৯০ দিন। যদি কোনো কারণে বিলম্বিত হয়, আরও এক মাসের একটা বিধান রাখা যেতে পারে সংবিধানে। তবে স্থির থাকতে হবে তিনমাসে, এখানে আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানে তো স্থানীয় সরকার নির্বাচন নেই। নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের মধ্যে দুইটা জিনিস- একটি হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন, আরেকটি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেটা এখনো বহাল আছে, তাতে কোনো সংশোধন আসেনি। প্রস্তাব তো যে কেউ দিতেই পারেন।