themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনি উচ্ছেদ করে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মতো পরিস্থিতি ফের গাজায় তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে বিভিন্ন মহল। এরই মধ্যে দেশটি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন অবৈধ বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, এসব বসতির কিছু ইতিমধ্যেই অনুমোদন ছাড়াই নির্মিত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বসতি সম্প্রসারণের এ ঘোষণা দেন। কাটজ বলেন, ‘জুডিয়া এবং সামারিয়ায় আমাদের নিয়ন্ত্রণ জোরালো করতেই এই উদ্যোগ।’
ইসরায়েল ইতিমধ্যেই পশ্চিম তীরে ১০০টিরও বেশি বসতি নির্মাণ করেছে, যেখানে পাঁচ লাখের বেশি বসতি স্থাপনকারী রয়েছেন। এসব অঞ্চলে ৩০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি সামরিক শাসনের অধীনে জীবনযাপন করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের ৯ দেশ—বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, স্পেন ও সুইডেন—ইউরোপীয় কমিশনকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব তৈরির আহ্বান জানিয়েছে।
রয়টার্সের অনুসন্ধান অনুযায়ী, এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কালাসকে লেখা গোপন চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে অবৈধ বসতি স্থাপন করছে। এমন কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। ফলে এ অঞ্চলে পণ্য ও সেবার বাণিজ্য বন্ধ করা জরুরি।’
ইইউ বর্তমানে ইসরায়েলের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২৪ সালে উভয় পক্ষের পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরো। তবে এই বাণিজ্যের কতটা অংশ অধিকৃত অঞ্চল সংশ্লিষ্ট, তা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) মতে, অধিকৃত এলাকায় বসতি স্থাপন ও তা টিকিয়ে রাখতে সহায়তাকারী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বন্ধ করতে রাষ্ট্রগুলোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রিভোট রয়টার্সকে বলেন, ‘ইউরোপের বাণিজ্যনীতি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত। বাণিজ্য আমাদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না।’
আগামী ২৩ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন। সেখানে মানবাধিকার নীতির প্রতি ইসরায়েলের আনুগত্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের ইইউ মিশন আল জাজিরার অনুরোধের পরও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।