themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121ইরান ও ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েল চাইছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা, যার মাধ্যমে ইরানের অন্যতম গোপন ও শক্তিশালী পারমাণবিক স্থাপনা ফোর্ডোকে ধ্বংস করা সম্ভব হতে পারে।
হোয়াইট হাউজের সাউথ লনে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘‘আগামী সপ্তাহ বড় কিছু ঘটতে পারে।’’ তবে তিনি ইঙ্গিত দেন, ইরানি কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে তার সঙ্গে আলোচনায় ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যদিও ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘এখন কথা বলার অনেক দেরি হয়ে গেছে।’’
কেন ফোর্ডো ধ্বংস করতে ‘বাংকার বাস্টার’ প্রয়োজন?
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বাংকার বাস্টার বোমা (GBU-57) বর্তমানে একমাত্র অস্ত্র, যা ফোরদো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্টের মতো পাহাড়ের গভীরে থাকা স্থাপনায় আঘাত হানতে সক্ষম। এই বোমা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে গভীর ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসের জন্য।
এই অস্ত্র কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের B-2 স্টিলথ বোমার বহনে সম্ভব। একটি B-2 দুইটি GBU-57 বহন করতে পারে। সিরিজ আকারে ফেলা হলে এটি ২০০ ফুট গভীর পর্যন্ত আঘাত করতে পারে।
ইসরায়েলের হাতে কী আছে?
ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি GBU-28 ও BLU-109 বাংকার বাস্টার বোমা থাকলেও সেগুলোর ক্ষমতা ফোর্ডোর গভীরতা পর্যন্ত পৌঁছায় না। ২০২৪ সালে ইসরায়েল বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করতে BLU-109 ব্যবহার করেছিল, তবে ফোরদোর মতো স্থানে এই অস্ত্র কার্যকর নয়।
কেমন গভীরে ফোর্ডো?
তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ফোর্ডো প্ল্যান্টটি ভূমির ৮০-৯০ মিটার (২৬০-৩০০ ফুট) গভীরে। ২০০৬ সালে নির্মাণ শুরু হয়ে ২০০৯ সালে চালু হয়।
২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তির (JCPOA) আওতায় সেখানে সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করার কথা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে সরে গেলে ইরান ফের সমৃদ্ধকরণ শুরু করে।
ইসরায়েলের অবস্থান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেছেন, ‘‘এই পুরো অভিযানের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে ফোর্ডো ধ্বংস করা।’’ ইসরায়েল ইতোমধ্যে নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্টে হামলা চালিয়ে মারাত্মক ক্ষতি করেছে।
পারমাণবিক দূষণের শঙ্কা
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা IAEA সতর্ক করেছে, ইরানের এসব পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চলতে থাকলে তেজস্ক্রিয় ও রাসায়নিক দূষণের ঝুঁকি বাড়বে। তবে এখন পর্যন্ত আশপাশের এলাকায় রেডিয়েশন মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
ফোর্ডো কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ফোরদো ইরানের অন্যতম সুরক্ষিত প্ল্যান্ট, যেখানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে ৬০% পর্যন্ত। এমনকি IAEA জানিয়েছে, এখানে ৮৩.৭% পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের কণা পাওয়া গেছে—যা অস্ত্র নির্মাণের উপযোগী মাত্রার খুব কাছাকাছি।