টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বিভিন্ন নদনদীর পানি দ্রুত বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এরই মধ্যে নদনদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পার্বত্যাঞ্চলের প্রায় সব কটি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। ৯ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে পানির প্রবাহ বাড়তে থাকায় তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনায় গতকালও আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
লালমনিরহাট : কয়েক দিনের অনবরত বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। এতে তিস্তা নদীর উভয় তীরে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উজানের পানির ঢল সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। গতকাল বিকাল ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮০ মিটার। যা বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টায় ২১ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে তিস্তা নদীর উভয় তীরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সিলেট : সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোর রাত সোয়া ৩টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের বখতিয়ারঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন বখতিয়ারঘাট গ্রামের মৃত আসিদ আলীর ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন (৫৫), তার স্ত্রী রহিমা বেগম (৪০), তাদের মেয়ে সামিয়া (১৪) ও ছেলে আলী আব্বাস (৯)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বখতিয়ারঘাট গ্রামের একটি উঁচু টিলার পাদদেশে ঘর তৈরি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন রিয়াজ উদ্দিন। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে টিলার মাটি নরম হয়ে ভেঙে পড়তে থাকে। ভোররাতে টিলার মাটি ধসে পড়ে রিয়া উদ্দিনের ঘরে। এতে চাপা পড়েন রিয়াজ উদ্দিনসহ পরিবারের চার সদস্য। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধারে এগিয়ে আসলেও বৃষ্টির কারণে তারা সফল হতে পারেননি। পরে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন এসে তৎপরতা চালিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।