রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী ক্ষণিকা বাসে ব্যাপক ভাঙচুর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেঝে। এতে বাসের ড্রাইভারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীরা উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ক্ষণিকা বাসে এ ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানান হামলার শিকার হওয়া শিক্ষার্থীদের একজন।
সোহাগ মিয়া নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ওই শিক্ষার্থী জানান, উত্তরা বিএনএসে কোনো এক বিআরটিসির ট্রাক উত্তরা হাই স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। সেই প্রসঙ্গে স্কুলের কিছু বাচ্চারা বিএনএস রাস্তা ব্লক করে রাখে। কাকতালীয়ভাবে সে সময়ে ক্ষণিকার ১:১০ এর বাস সেখানে উপস্থিত হলে তারা শুরুতেই বাসে হামলা করে লুকিং গ্লাস ভেঙে দেয়। এরপর ড্রাইভারকে মারধর শুরু করে।
তিনি বলেন, প্রতিহত করতে গেলে তারা আমাদের ধাওয়া দিয়ে বাসের পিছনের গেট পর্যন্ত নিয়ে আসে। এসময় তারা সেখানে দাঁড়ানো আমাদের সিনিয়রদের মারধর শুরু করে। তা প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তারা আশপাশ থেকে লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে এসে বাসের গেটে নিরাপত্তার জন্য দাঁড়ানো সকলকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। যা একসময় বাস গুঁড়িয়ে দেয়ায় রূপ নেয়।
ঘটনায় শুরুতে হামলায় উত্তরা হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের কয়েকজন থাকলেও শেষে যারা ছিল বেশিরভাগই বহিরাগত ও নেশাগ্রস্ত টোকাই বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করছে বলেও এ শিক্ষার্থী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, হামলা বিশ্ববিদ্যালয়কে টার্গেট করে করা হয়নি। তারা সব বাসেই হামলা করছিল। এ সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি তাদের সামনে পড়ে। আমাদের ৪-৫জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এক জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা একটি জিডি করতে থানায় যাচ্ছে বলে জানতে পেরেছি।