কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন বলেছেন, ‘বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ এখন জামায়াত। অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে। জাতীয় পার্টি কার্যক্রমে নেই। ফলে মনে হচ্ছে জামায়াতই এখন বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : নির্বাচনি রোডম্যাপ আদায়ে কোন পথে বিএনপি?
হাসান জাফির তুহিন : সব গণতন্ত্রকামী দলকে সঙ্গে নিয়ে মতামতের ভিত্তিতে তাদের সংগঠিত করছি। কয়েক মাস আগে যখন সরকারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হয় তখন আশ্বস্ত করা হয়েছিল ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে। গত ১৭ বছর যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিপক্ষে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দাবি জানাতে থাকব।
প্রশ্ন : এনসিপির গঠনপ্রক্রিয়া ও কার্যক্রম কীভাবে দেখেন?
হাসান জাফির তুহিন : জনগণ বুঝে গেছে তারা কিংস পার্টি। এনসিপির দুজন এখনো সরকারে রয়েছে। তাদের প্রতি সরকারের সমর্থন রয়েছে। সরকারের সব মেশিনারিজ তাদের সহযোগিতা করছে।
প্রশ্ন : অনেকে বর্তমান সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছে?
হাসান জাফির তুহিন : শুধু পাঁচ বছর নয়, ১০০ বছরও চাইতে পারে। তাদের সবকিছুই নিয়মবহির্ভূত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের নেতা-কর্মীরা সক্রিয় নন। এটা আমাদের দুর্বলতা। আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল নই। আমরা আপামর দেশের জনসাধারণ যারা গণতন্ত্রকামী মানুষ, যারা আমাদের ভালোবাসে, বিশেষ করে যারা ভোটাধিকার চায়। এরাই আমাদের শক্তির উৎস।
প্রশ্ন : বিএনপির নির্বাচনি প্রস্তুতি কেমন?
হাসান জাফির তুহিন : বিএনপি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। যখনই নির্বাচন দেবেন বিএনপি প্রস্তুত। বিএনপির চেয়ে জামায়াতের নির্বাচনি প্রস্তুতি বেশি দেখা যাচ্ছে। তারা অধিকাংশ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। কৃষক দল সাংগঠনিকভাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তিন বছর মেয়াদ শেষ হয়েছে। সংগঠনের অভিভাবক তারেক রহমান যখনই চাইবেন কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।
প্রশ্ন : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপি সরব নয় কেন?
হাসান জাফির তুহিন : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নয়, আমরা বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভরশীল। এরা সাময়িকভাবে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে কিন্তু লং রানে আমরাই জয়ী হব। বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু থেকেই ছিল, এখনো আছে।
প্রশ্ন : বর্তমান সরকারের কাছে প্রত্যাশা কী?
হাসান জাফির তুহিন : ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করুক এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের আয়োজন করুক।