themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121ব্যাংকের ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ করতে ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ পাস করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম বা অর্থনৈতিক অপরাধ যে গোষ্ঠীগুলো করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক কাজগুলো হয়েছে। এখন ফিন্যান্সিয়াল অপরাধে যারা জড়িত ছিলেন তাদের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করতে আলাদা কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া কর্পোরেট এবং ব্যাংকিং সেক্টরে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা আনার জন্য ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ পাস করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য এই ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ আজকে আমরা পাস করেছি। আমরা আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনায় সাধারণ আমানতকারীদের বিপদে পড়তে না হয় সেজন্য এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা কেমন করে আনা হবে, বাংলাদেশ ব্যাংককে কতটুকু ক্ষমতা দেওয়া হবে, প্রতিষ্ঠানটি কোনো পর্যায়ে গিয়ে ইন্টারভেন (হস্তক্ষেপ) করবে সেগুলো এতদিন স্পষ্ট ছিল না আইনে, এখন স্পষ্ট করা হলো।
একইসঙ্গে দেওয়ানী মামলার আইন ‘দ্য কোড অব সিভিল প্রসিডিউর – ১৯০৮’ (সিপিসি) এর ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংশোধনী এনে আধুনিক করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
তিনি জানান, মামলায় কতবার সময় নেওয়া যাবে এমন বিষয় সংশোধন করা হয়েছে। লিস্টে পূর্ণ শুনানি ও আংশিক শুনানির মামলা কতবার আসবে সেগুলো সুনিদিষ্ট করা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া অনেকাংশেই সেকেলে রয়ে গেছে। বিচার প্রক্রিয়াকে আধুনিকায়নের কথা বলা হয়েছে। এখন থেকে সমন জারি টেলিফোন, এসএমএস ও আধুনিক ডিভাইসের মাধ্যমে করা যাবে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া কাউকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য যেসব মামলা করা হয় তার শাস্তি আগে ২০ হাজার টাকা ছিল। এখন সেটি পরিবর্তন করে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, অভিন্ন জলরাশির পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুইটি আইন রয়েছে। এর একটিতে বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।