themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম এবং সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর, পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের নগদ অর্থ ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে আইসিসিবির নবরাত্রী হলে বিশ্ববরেণ্য আলেম-ওলামার মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের ১৭ দেশ থেকে ১৭ জন এবং দেশের প্রায় ১০ হাজার প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার মোহাম্মদ জাকি। তিনি পেয়েছেন ১৫ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ। আর দেশসেরা হয়েছেন নেত্রকোনার কিশোর হাফেজ মো. ইরশাদুল। তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ।
কুরআনের এ প্রতিযোগিতাটি দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনজন এবং জাতীয় পর্যায়ে সেরা আটজন এ পুরস্কার জিতেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বাংলাদেশসহ ১৭ দেশের হাফেজবৃন্দ। চ্যাম্পিয়ন ও দুই রানারআপকে নগদ অর্থ পুরস্কারসহ সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
চ্যাম্পিয়নকে ১৫ লাখ, প্রথম রানারআপকে ১০ লাখ এবং দ্বিতীয় রানারআপকে দেওয়া হয় ৭ লাখ টাকা। সবাইকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন ইন্দোনেশিয়ার মোহাম্মদ জাকি। দুজন রানারআপ হলেন ইয়েমেনের মোহাম্মদ বালিগ সায়্যিদ আবদুল গাফফার আলী ও বাংলাদেশের হাফেজ মো. ইরশাদুল ইসলাম। এ ছাড়া তাদের ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়েছে।
আর জাতীয়ভাবে দেশের ১১ জোনের প্রায় ১০ হাজার হাফেজকে পেছনে ফেলে সেরা ৮-এ উঠে আসেন কুরআনের আটজন খুদে পাখি। এর মধ্যে প্রথম হয়েছেন নেত্রকোনার কিশোর হাফেজ মো. ইরশাদুল ইসলাম। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট।
দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী হাফেজ মো. জিহাদুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ লাখ টাকা, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট। আর তৃতীয় হয়েছেন হাফেজ আবদুর রহমান বিন নূর। তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট। চতুর্থ ও পঞ্চম হয়েছেন হাফেজ মো. জুবায়ের আহমদ এবং হাফেজ মো. শাহেদ আলম তারিফ। তারা পেয়েছেন ২ লাখ টাকা, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট। সেরা ৮-এর বাকি তিনজন হাফেজ আবদুর রাজ্জাক নোমান, হাফেজ মুহাম্মদ আফফান বিন সিরাজ ও হাফেজ মোহাম্মদ ইউসুফ আলী প্রত্যেকে পেয়েছেন ১ লাখ টাকা। একই সঙ্গে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয় তাদের। পুরস্কার দেওয়া হয়েছে মোট ১১ জনকে। এর মধ্যে জাতীয়ভাবে আটজন এবং আন্তর্জাতিকভাবে তিনজন। পরে তারা বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে পিতা-মাতাসহ পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গর্ভনর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের সহযোগিতায় দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে এজন্য তাঁদের মুবারকবাদ জানাচ্ছি। এ আয়োজন ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকুক সে কামনা করি।’
সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর, চরমোনাইয়ের মরহুম পীর (রহ.)-এর সাহেবজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ মাসাদ্দিক বিল্লাহ মাদানি।
আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘বসুন্ধরা আয়োজিত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম এবং সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর আপনাদের সালাম জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আল কুরআন হচ্ছে মানবতার মুক্তির দিশা। এটি আল্লাহর দেওয়া মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। কুরআনের অন্যতম অলৌকিক শক্তি হলো মানুষের অন্তরে সংরক্ষিত করা যায়। যারা এ কুরআন শেখে, চর্চা করে, গবেষণা করে এবং কুরআনের আলোকে জীবন গড়ে তারা আল্লাহর বিশেষ বান্দায় পরিণত হয়।’
এ অনুষ্ঠান কেন্দ্র আইসিসিবির নবরাত্রী হল হয়ে ওঠে দেশবিদেশের বিখ্যাত ইসলামি স্কলার, আলেমের মিলনমেলা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শামসুল আলম, চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নর ড. খলিলুর রহমান মাদানি।