themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প অস্থিরের নেপথ্যে রয়েছে পাঁচ সংগঠনসহ অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী। তারা ছিনতাই, অস্ত্র-মাদক ব্যবসা এবং অপহরণ থেকে শুরু করে সব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে এ গ্রুপগুলো প্রতিনিয়ত জড়িয়ে পড়ছে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে। হচ্ছে একের পর এক খুন। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-১৪ অধিনায়ক সিরাজ আমীন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অতীতে অপরাধ রেকর্ড করেছে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর।’
জানা যায়, কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইয়াবা এবং আইসের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সাগর এবং স্থলপথে সান স্টেট থেকে আসা সিংহভাগ ইয়াবা-আইসের চালান ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে মজুত হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিদের মাধ্যমে মাদকের চালানগুলো পৌঁছে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অল্প পরিশ্রমে অনেক আয়ের প্রলোভনে পড়ে সাধারণ রোহিঙ্গারা মাদক ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করছে। পেশাদার মাদক ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করছে কমপক্ষে দুই হাজার রোহিঙ্গা। ক্যাম্পের ভিতর গড়ে ওঠা দোকানগুলোও পরিণত হয়েছে মাদক বিক্রির কেন্দ্রে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গড়ে ওঠা কিছু কিছু দোকানের আড়ালে পরিচালিত হয় মাদক ব্যবসা। ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ, প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে ক্যাম্পে খুন, অপহরণ এবং মারামারি পরিণত হয়েছে সাধারণ ঘটনায়। এসবের পাশাপাশি ক্যাম্পের অপরাধ পরিসংখ্যানে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন অপরাধ। যার মধ্যে রয়েছে জাল টাকার বিস্তার, অবৈধ সিগারেট পাচার, অবৈধ মিয়ানমারের সিম বিক্রি, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা, রোহিঙ্গা মানব পাচার। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধের নেপথ্যে রয়েছে মিয়ানমার ভিত্তিক পাঁচটি সংগঠন। এ ছাড়া রয়েছে আরও অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী।