themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে প্রাক্-নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। ৩০০ আসনে এককভাবে প্রার্থী তৈরি রাখছে দলটি। সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ, কর্মশালাসহ মাঠ চাঙা রাখতে নানা কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি। আজ থেকে শুরু দুই দিনব্যাপী ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ কর্মসূচিতে ১১টি স্থানে সমাবেশে অংশ নেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশের ৩০০ আসনেই নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তবে সমমনা দল ও জোটের প্রার্থীদের মাঝে আসন ভাগাভাগি হবে ভোটের আগে। একেবারে শেষ মুহূর্তে। যাঁরা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলেন, সেসব দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বেশ কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। দলের নীতিনির্ধারণী মহল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের জন্য বিএনপি সব সময়ই প্রস্তুত। বিএনপি সব সময়ই জনগণের পাশে ছিল এবং আছে। বিগত সময়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই সারা দেশে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে আছে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচন অপরিহার্য। যত দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা হবে, দেশ ও জাতির জন্য ততই মঙ্গল।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা এখনো দলে সক্রিয় তাঁদের বেশির ভাগই আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। এ ছাড়া নির্বাচনে বেশ কিছু নতুন মুখ ও অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাও আসতে পারেন।
দীর্ঘ সাত বছর পর ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে জাতীয় নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা করবে বিএনপি। বর্ধিত সভার প্রস্তুতির জন্য দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান করে প্রস্তুতি কমিটি গঠিত হয়েছে। এদিকে নির্বাচনি প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের ৬৮টি সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশ শুরু করেছে বিএনপি। এর মাধ্যমে সারা দেশে নির্বাচনি জোয়ার তুলতে চায় দলটি। দলের ৩৮ জন সিনিয়র নেতাকে এসব সমাবেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচি থেকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানানো হবে। দেওয়া হবে জরুরি বার্তা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণাসহ নানা দাবিতে সারা দেশে এই সমাবেশ করে যাচ্ছে বিএনপি। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে জনদাবির ব্যানারে এই প্রথমবারের মতো মাঠপর্যায়ে কর্মসূচিতে নামছে দলটি। এসব সমাবেশে প্রধান ফোকাস থাকবে কেন দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার, সেসব যুক্তি ও বাস্তবতা তুলে ধরা। প্রথম ধাপে ৬৮টি সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশ হবে। গত বুধবার থেকে একযোগে ৯ জেলায় সমাবেশ করে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
এসব সমাবেশে যোগ দিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিব পদমর্যাদার সিনিয়র নেতারা তৃণমূলে যাচ্ছেন। কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্ট জেলার কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী সারা দেশে নেতা-কর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলার পর দ্বিতীয় ধাপে পর্যায়ক্রমে মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করবে। শেষ সমাবেশটি হতে পারে ঢাকা মহানগরে। পবিত্র রমজানের আগেই এ কর্মসূচি শেষ করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন, তা সমাবেশে তুলে ধরবেন সিনিয়র নেতারা। একই সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভোটারদের আস্থায় রাখতে নানা ধরনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন ও দেশ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরা হবে। ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না বিএনপি’- এ কথা মাথায় রেখে কোনো পক্ষ যেন সুযোগ নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য সতর্ক থাকার জন্য বার্তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিএনপির বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে, এমন অভিযোগ করে সে বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গাইবান্ধা, ড. আবদুল মঈন খান টাঙ্গাইল, বেগম সেলিমা রহমান মাদারীপুর, আবদুল আউয়াল মিন্টু চাঁদপুর, শামসুজ্জামান দুদু ঠাকুরগাঁও, আবদুস সালাম বগুড়া, আরিফুল হক চৌধুরী মৌলভীবাজার, জহির উদ্দিন স্বপন ভোলার জনসভায় যোগ দেবেন।
জনসভার মধ্যে রয়েছে কাল ১৮ ফেব্রুয়ারি সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু পাবনা, শামসুজ্জামান দুদু পঞ্চগড়, জয়নুল আবদিন ফারুক কুমিল্লা দক্ষিণ, আবুল খায়ের ভূঁইয়া ঝিনাইদহ, রুহুল কবির রিজভী মানিকগঞ্জ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি হবিগঞ্জ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স নেত্রকোনা।
১৯ ফেব্রুয়ারি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নোয়াখালী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সিলেট, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জ, মিজানুর রহমান মিনু কুষ্টিয়া, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার শরীয়তপুর, মজিবর রহমান সরোয়ার পিরোজপুর, রুহুল কবির রিজভী রাজশাহী।
২০ ফেব্রুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী লক্ষ্মীপুর, সেলিমা রহমান বরিশাল দক্ষিণ, আবদুল আউয়াল মিন্টু ময়মনসিংহ দক্ষিণ, ড. আসাদুজ্জামান রিপন ফরিদপুর, আমান উল্লাহ আমান চুয়াডাঙ্গা, মিজানুর রহমান মিনু নওগাঁ, আবদুস সালাম কুড়িগ্রাম।
২২ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ঝালকাঠি, আহমেদ আজম খান চট্টগ্রাম দক্ষিণ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ময়মনসিংহ উত্তর, হারুনুর রশীদ জয়পুরহাট, মাহবুব উদ্দিন খোকন কুমিল্লা উত্তর, আসলাম চৌধুরী বান্দরবান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া রংপুর, আবদুস সালাম আজাদ নরসিংদী।
২৪ ফেব্রুয়ারি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মুন্সিগঞ্জ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বরিশাল উত্তর, নিতাই রায় চৌধুরী নড়াইল, আহমেদ আজম খান নাটোর, হারুনুর রশীদ গাইবান্ধা, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল রাঙামাটি, আবদুস সালাম আজাদ মাগুরা, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সৈয়দপুর। ২৫ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাস নারায়ণগঞ্জ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গাজীপুর, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু চট্টগ্রাম উত্তর, বরকত উল্লাহ বুলু বাগেরহাট, নিতাই রায় চৌধুরী সাতক্ষীরা, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দিনাজপুর, আমান উল্লাহ আমান মেহেরপুর, জয়নুল আবদিন ফারুক নীলফামারী, মনিরুল হক চৌধুরী খাগড়াছড়ি, আবদুস সালাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের সমাবেশে যোগদানের কথা রয়েছে।