themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114এবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদের দখল চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, “ইউক্রেন যদি তার নিজের ভূখণ্ডে থাকা বিরল খনিজ উপাদান যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে সম্মত হয়, কেবল তাহলেই দেশটিতে সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।”
এরপর ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি ইউক্রেন এই শর্তে রাজি না হয়— সেক্ষেত্রে নতুন সহায়তা প্রদান বন্ধ থাকবে তো বটেই, উপরন্তু বিগত বাইডেন প্রশাসনের আমলে দেশটিকে যত সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল, সেসব ফেরতের জন্য কিয়েভকে চাপ দেওয়া হবে।”
সোমবার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত কিয়েভকে সামরিক ও অন্যান্য খাতে সহায়তা বাবদ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন এবং বিনিময়ে কিছুই না নিয়ে যদি ওয়াশিংটন সহায়তা অব্যাহত রাখে, তাহলে তা হবে বড় ধরনের ‘নির্বুদ্ধিতা’।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমার সহজ বক্তব্য হলো— আমি আমাদের অর্থের নিরাপত্তা চাই; কারণ ইতোমধ্যে ইউক্রেনে আমরা হাজার হাজার কোটি ডলার খরচ করে ফেলেছি। তাদের (ইউক্রেন) ভূমি সম্পদে পরিপূর্ণ; বিরল খনিজ উপাদান বলুন, তেল-গ্যাস বলুন কিংবা অন্যান্য ভূমিজ সম্পদ তাদের প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমি তাদের বলেছি যে, ওয়াশিংটন ইউক্রেনের কাছ থেকে ৫ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের বিরল খনিজ উপাদান চায় এবং কিয়েভ মৌখিকভাবে তাতে সম্মতিও দিয়েছে। এখন শুধু লিখিত চুক্তির অপেক্ষা।”
২০২৪ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বাণিজ্যবিষয়ক আন্তঃসরকার সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ইউক্রেনের ভূমিতে বেরিলিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, গ্যালিয়াম, ইউরেনিয়াম, জিরকোনিয়াম, গ্রাফাইট, অ্যাপেটিট, ফ্লুরাইট এবং নিকেলের বিপুল পরিমাণ মজুত রয়েছে। এসব ধাতু ও খনিজ সম্পদ বেশ দুষ্প্রাপ্য এবং প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চ-প্রযুক্তির বিভ্নি পণ্য ও পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ বা গ্রিন এনার্জি খাতের জন্য অপরিহার্য।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যানুসারে, এসব ধাতু ও খনিজ সম্পদের বৈশ্বিক মজুতের ৭ শতাংশই রয়েছে ইউক্রেনে।
ফক্স নিউজকে ট্রাম্প জানান, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এমনকি কিয়েভ যদি এ সংক্রান্ত চুক্তিতে সম্মত না হয়, তবুও।
“তারা (কিয়েভ) এ চুক্তিতে সম্মত হবে কি হবে না— তা তাদের ব্যাপার। অদূর ভবিষ্যতে পুরো ইউক্রেন রুশ ভূখণ্ডে পরিণত হবে কি না— সেটিও তাদের অভিরুচি। কিন্তু আমি আপনাকে বলছি— ইউক্রেনে যে অর্থ আমাদের গিয়েছে, তা ফেরত আনতে হবে এবং আনতেই হবে।”