themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার বিচার না হলে, আগামীর নেতৃত্ব হত্যাকান্ডে উৎসাহ পাবে। তাই গণহত্যাকারী হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। কোনোভাবেই তাকে ছাড়া যাবে না। তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত সরকার গঠন করতে হবে। আগামী দিনে মানুষের চাওয়াপাওয়া পূরণে আমাদের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। হাসিনার অস্ত্রের সামনে একমাত্র বিএনপিই সেদিন সংস্কারের কথা বলেছিল, সেদিন মাঠে আর কেউ ছিল না। ২০১৬ সালে ক্রসফায়ারে নিহত ফেনীর যুবদল নেতা মাসুদের পরিবারকে ঘর প্রদান উপলক্ষে গতকাল বিকালে আয়োজিত জনসভায় ভার্চুয়ালি বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সাবের পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোনাগাজীর যুবদল নেতা মাসুদের পরিবার ছাড়াও গত আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রায় অর্ধশত পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী, বরকতউল্লা বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবদিন ফারুক, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, রেহানা আক্তার রানু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
তারেক রহমান বলেন, হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। তবে গত ১৬ বছর ধরে যারা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কারের নামে কোনো ষড়যন্ত্র হলে দেশে অশান্তি সৃষ্টি হবে। যত দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, তত দ্রুতই বাংলাদেশ সঠিক পথে হাঁটবে। বর্তমানে আমাদের ভিতর অনেক অনুচর প্রবেশ করে বিভ্রান্তি তৈরির নীলনকশা করছে।
রিজভী আহমেদ বলেন, উপদেষ্টারা আজ কাকে শত্রু পক্ষে দেখছে, সরকারের ভিতর এখনো হাসিনার দোসররা লুকিয়ে আছে। অবাক হই সরকারি কর্মকর্তারা হাসিনার জন্য লিফলেট বিতরণ করছে। এত সাহস হয় কীভাবে। এর দায়ভার বর্তমান সরকারের।
বরকতউল্লা বুলু বলেন, আমরা তারেক রহমানের নানার বাড়িতে এসেছি, অতিথি হয়ে নয়। বেড়াতে এসেছি। তিনি বলেন, ছাত্রদের রাজনৈতিক দলের বিষয়টি অস্বস্তির। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচনের সুযোগ করে দিন। ১৭ বছরের বিএনপির শ্রম ঘাম ও রক্তের ওপর আপনারা উপদেষ্টা হয়েছেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আমরা তারেক রহমানের অপেক্ষায় আছি। হাসিনা সরকারের হাতে একমাত্র ফেনীতেই তিন শত জন নিহত হয়েছেন। এর সবগুলো হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, জুলাই আগস্টের আন্দোলনকারীদের মূল শক্তি ছিলেন তারেক রহমান। যারা হাসিনাকে এখন ক্ষমা করতে চায়, তারাই তাকে অতীতেও পুনর্বাসন করেছে।