আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক (ডি আর) কঙ্গোর সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বৃহত্তম শহর গোমার দখল নিয়েছে।তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জাতিসংঘের ১৩ শান্তিরক্ষীর নিহতের হয়েছে।
গতকাল রবিবার কঙ্গোর সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক গোলাবর্ষণ হয়েছে বিদ্রোহীদের।
তুতসি জাতির নেতৃত্বাধীন এম২৩ সশস্ত্র গোষ্ঠীর পেছনে রুয়ান্ডার সমর্থন রয়েছে। এম২৩ সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কঙ্গো রিভার অ্যালায়েন্সের নেতা কর্নেইল নাঙ্গা বলেছেন, ‘তার বাহিনী গোমার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ শুরু করেছে। তবে সময় লাগছে।’
গোমা শহরের অবস্থান উপকূলের কাছাকাছি। সেখানে ১০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। রুয়ান্ডা সীমান্তের এই শহরটি ২০১২ সালেও একবার আংশিকভাবে এম২৩ দখলে নিয়েছিল।
জাতিসংঘের দুটি সূত্র বলছে, মাউন্ট গোমা নামে একটি পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে কঙ্গোর সেনাবাহিনী। সীমান্তের অপর প্রান্তে গিসেনি শহরে রুয়ান্ডার সৈন্যদের সঙ্গে তাদের গুলি বিনিময় হয়েছে। বিমানবন্দরের কাছেও গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কঙ্গোতে সংঘাত চললেও পরিস্থিতি এতোটা খারাপ কখনো হয়নি।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, এম২৩ গোষ্ঠীর আক্রমণ বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
গিসেনি থেকে রয়টার্সের প্রতিবেদক জানিয়েছেন, সেখানকার বাসিন্দারা সারি ধরে পালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বাচ্চাদের কোলে নিয়ে ভারী ব্যাগ হাতে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের কর্মী এবং তাদের পরিবার রুয়ান্ডায় চলে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ রবিবার সংকট নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের আলোচনা করেছে। সেখানে বিদ্রোহীদের পেছনে রুয়ান্ডার সমর্থনের নিন্দা জানানো হয়েছে।
রুয়ান্ডা কঙ্গো সরকার এবং সেনাবাহিনীকে হুতু-নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মদদ দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে। রুয়ান্ডা বলেছে, এটি রুয়ান্ডার নিরাপত্তার পাশাপাশি কঙ্গোতে বসবাসকারী তুতসিদের জন্য হুমকি।
কঙ্গো রুয়ান্ডার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। খনিজসম্পদ লুট করার উদ্দেশ্যে কঙ্গোর বিস্তৃত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতেই রুয়ান্ডা এম২৩ গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে বলে দাবি করেছে কঙ্গো।