জাকারবার্গ, বেজোস ও মাস্ক: ট্রাম্পের শপথে মন্ত্রীদের আগে টেক বিলিয়নিয়াররা

Reporter Name / ১১৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রযুক্তি খাতের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তবে এই অনুষ্ঠানে আসনব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। কারণ মন্ত্রিসভার প্রস্তাবিত সদস্যদের সামনে আসন দেওয়া হয়েছিল এসব প্রযুক্তি বিলিয়নিয়ারদের। এই ঘটনাকে অলিগার্কি (রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গুটিকয়েক মানুষের হাতে থাকা) এবং তাদের প্রভাবশালী ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন ট্রাম্পের সমালোচকেরা।

ক্যাপিটাল রোটুন্ডায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে স্পেসএক্স ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ, আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রযুক্তিশিল্পের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁরা।

এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল টিকটকের প্রধান নির্বাহী শাউ জি চিউ, ওপেনএআইয়ের স্যাম অল্টম্যান এবং উবারের দারা খোসরোশাহির।

নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস, পডকাস্টার জো রোগান এবং ফক্স করপোরেশনের চেয়ার ইমেরিটাস, নিউজ কর্পের সিইও রুপার্ট মুরডকও, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলি উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁরা কম গুরুত্বপূর্ণ আসনে ছিলেন।

শুরুতে অনুষ্ঠানটি ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ের বাইরে খোলা আকাশের নিচে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেখানে প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের বেদিতে (উচ্চ সম্মানের স্থান) বসার কথা ছিল। এটি এমন একটি স্থান, যেখানে ট্রাম্পের পরিবার সদস্যরা, সাবেক প্রেসিডেন্টরা এবং অন্য উচ্চ প্রোফাইল অতিথিরা বসেন।

তবে গত সোমবার ওয়াশিংটনে তীব্র শীতের কারণে অভিষেক অনুষ্ঠানটি ক্যাপিটেলের ভেতরে স্থানান্তর করা হয়। এর ফলে আগে থেকেই নির্ধারিত আসনব্যবস্থা পরিবর্তিত হয়। এর ফলে প্রযুক্তিশিল্পের নেতাদের ট্রাম্প পরিবারের সদস্যদের পাশেই এবং মন্ত্রিসভার প্রস্তাবিত সদস্যদের সামনে বসানো হয়।

এক্সের এক পোস্টে ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেন, বড় প্রযুক্তি বিলিয়নিয়ার ট্রাম্পের অভিষেকে প্রথম সারির আসনে বসেছেন। তাঁরা এমনকি ট্রাম্পের নিজের মন্ত্রিসভার প্রার্থী থেকেও ভালো আসনে বসেছেন। এ ঘটনা থেকে অনেক বিষয় পরিষ্কার হয়।

এ ছাড়া এই অনুষ্ঠানে প্রথম দিকের সারিতে ছিলেন জেফ বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন স্যাঞ্চেজ। এ বিষয়ে ডেমোক্রেটিক মিডিয়া মন্তব্যকারী রন ফিলিপকোস্কি উল্লেখ করেছেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে রুটান্ডায় কোনো কংগ্রেসের স্ত্রী প্রবেশ করতে পারলেন না। তবে অলিগার্কদের জন্য নিয়ম আলাদা।’

সাবেক ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যানন বলেন, সোমবারের অভিষেক অনুষ্ঠানে টেক নেতাদের জমায়েত ছিল যেন তারা ট্রাম্পের কাছে ‘একটি আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ’ করছিল। তিনি এটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাপানে আত্মসমর্পণের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি জাহাজে ঘটেছিল।

এর আগেই সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেন যে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি অলিগার্কি গড়ে উঠছে, যেখানে চরম ধন, ক্ষমতা এবং প্রভাব একত্রিত হয়ে আমাদের পুরো গণতন্ত্রকে প্রকৃতপক্ষে বিপদের মুখে ফেলছে। তিনি কিছু অত্যন্ত ধনী ব্যক্তির হাতে ক্ষমতার বিপজ্জনকভাবে কেন্দ্রীভূত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
deneme bonusu veren siteler - canlı bahis siteleri - casino siteleri casino siteleri deneme bonusu veren siteler canlı casino siteleri
deneme bonusu veren siteler - canlı bahis siteleri - casino siteleri casino siteleri deneme bonusu veren siteler canlı casino siteleri