themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114।
ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা. ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক শুরু হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ গণঅভ্যুত্থানের সাড়ে পাঁচ মাস পর রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিকভাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের কি প্রয়োজন ছিল-এ প্রশ্নও বৈঠকে তুলেছিলেন।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি জুলাই গণঅভুত্থ্যানের সাড়ে পাঁচ মাস পরে জুলাই ঘোষণাপত্রের কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল কিনা? যদি থেকে থাকে তাহলে রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও আইনি গুরুত্ব কী, সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে। কারণ, ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে জাতির মধ্যে যেন বিভেদ সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছি।
তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্র যদি রাজনৈতিক দলিল বা ঐতিহাসিক দলিল সৃষ্টি হয় তাহলে সেটিকে আমরা সম্মান করি। তবে সেটা প্রণয়নে যেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সবার সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সর্বদলীয় বৈঠকে বিএনপিসহ উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে শুধুমাত্র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে যোগ দেন। জামায়াতে ইসলামী থেকে যোগ দেন সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে চার সদস্য। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও সংগঠনটির মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, জাতীয় গণফ্রন্টের কামরুজ্জামান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে তিন সদস্য, ইসলামি আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমানের নেতৃত্বে দুই সদস্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম।