themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114জুলাই বিপ্লবে শহীদ পাঁচ সাংবাদিক পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। তাদের আগামী দিনের পথচলা সহজ করতে এক কোটি টাকা সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৈনিক কালের কণ্ঠের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় শহীদ সাংবাদিকদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে শহীদ প্রত্যেক পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে সহায়তা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরপর ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স রুমে সকলকে নিয়ে কেক কেটে দৈনিকটির নতুন বছরে পদার্পণের আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা করেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান। এ সময় বর্ষীয়ান সাংবাদিক শফিক রেহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাদের গণি চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু তাহের, নির্বাহী সম্পাদক মন্জুরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদ হাসান, ডেইলি সানের সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক লুৎফর রহমান হিমেল, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেল, নিউজ টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী সম্পাদক ফরিদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিপদে-আপদে আমি সবসময় দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। বসুন্ধরা গ্রুপ মিডিয়া জগতে আসার পর থেকেই সাংবাদিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তার সন্তানকে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করে দিয়েছিলাম। সেই শিশু ছেলেটি এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। জুলাই বিপ্লবে শহীদ পাঁচ সাংবাদিকের পরিবারের পাশেও আমি থাকব। জুলাই বিপ্লবে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছেন, অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছি। এদেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে। মিডিয়াতে সত্য লেখা যায়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসও বলেছেন সমালোচনা করতে। সত্য যতোই অপ্রিয় হোক, সাংবাদিকদের সত্য ঘটনা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। তাতে সমগ্র দেশ উপকৃত হবে।’
এসময় শফিক রেহমান বলেন, ‘আহমেদ আকবর সোবহান একজন বিস্ময়কর এবং দেশের এক নম্বর উদ্যোক্তা। অনেকে অল্পকিছু করেই বাহবা নেন। তিনি নিরবে অনেক কিছু করে যাচ্ছেন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড়, সম্ভ্রান্ত ও নিরাপদ আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়েছে। তিনি এখন একটি হাসপাতাল নির্মাণ করবেন বলে জেনেছি। আমি বিশ্বাস করি সেটা হবে সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক এবং ভারতের মধ্যে সবচেয়ে উন্নতমানের হাসপাতাল। উদ্যোক্তা অনেক আছেন, উনার মতো দূরদর্শী উদ্যোক্তা আমি দেখিনি। তিনি যা কিছু করেছেন দেশের মধ্যে করেছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে ভারতকে বিট করতে এমন উদ্যোক্তা আমাদের দরকার।’
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মিডিয়াগুলোর উপরে নানামুখী চাপ ছিল। তখনও বসুন্ধরা গ্রুপের গণমাধ্যমগুলোয় টানা নির্যাতন, নিপীড়ন ও দুর্নীতির নিউজ ছাপা হয়েছে। এখন আর চাপ নেই। মিডিয়াগুলো এখন আরও বেশি করে জনগণের কথা বলবে।’