themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’র সমাবেশে এ দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্ববায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, আমাদের আর কোনো শত্রু নাই, একমাত্র শত্রু আওয়ামী লীগ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টা বলেছেন, সিন্ডিকেট এক হাত থেকে অন্য হাতে গেছে, তাহলে উনি কী করেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, এ দেশের মানুষ এক নতুন বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায়। বাংলাদেশের মানুষ সংস্কার চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ যখন জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠের আয়োজনের ঘোষণা দেয়, তখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক সংগঠনের সমন্বয়ে ঘোষণাপত্র পাঠের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বলতে চাই, অবিলম্বে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই নতুন সংবিধান হবে। আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। সে নির্বাচনে নির্বাচিতরাই সংবিধান সংশোধন করবে। বাংলাদেশের মানুষের অসংখ্য চাওয়া আছে, আগামীর নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন তাদের সেই চাওয়াগুলো পূরণ করতে হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ২৪ এর চেতনাকে ধারণ করে বিশ্বে বাংলাদেশকে এক নতুন বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, গণহত্যার দ্রুত বিচার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও পাচারকৃত টাকা দেশে ফেরত আনতে হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে শহীদ মিনারে ঢল নামে শিক্ষার্থীসহ তরুণ সমাজের। তরুণ সমাজ ছাড়াও আন্দোলনে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা যোগ দেন।