themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বাজার সিন্ডিকেটের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সিন্ডিকেট না বলে ব্যবসায়ী যারা আছে তারা খুব শক্তিশালী। ব্যবসায়ীদের মধ্যে খুব বড় ব্যবসায়ী, মাঝারি, আমদানিকারক, সরবরাহকারী, এজেন্ট আছে… এটা একটা জটিল জিনিস। এই জটিল জিনিস তো ভাঙা ডিফিকাল্ট।
বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ চাল, ডাল, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মোটামুটি যেগুলো আসছে, আমরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিচ্ছি। অনেকগুলো ক্রয়সংক্রান্ত অনুমোদন আমরা দিলাম। কিন্তু এককভাবে টাকার অঙ্ক খুব বেশি না। আগে অনেক সময় দেখা যেত বিরাট-বিরাট কিছু, সেগুলো এখন যেটা আসবে, আমরা যাচাই-বাছাই করে দেব।
তিনি বলেন, সয়াবিন হয়তো কিছুটা সহনীয় হতে পারে। আর মসুর ডাল দিচ্ছি, কারণ মসুর ডালের প্রয়োজন আছে। অতএব রোজা পর্যন্ত যত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আছে চাল, ডাল, খেজুর, ছোলা, সয়াবিন তেল, চিনি এগুলো আমরা নিশ্চিত করছি। চেষ্টা করছি বাজারটা যাতে আরেকটু সহনীয় হয়। তবে সময় লাগবে। কারণ এগুলো বেশিরভাগ বাহির থেকে আমদানি করতে হয়। আমাদের আনলোড করতে দেরি হয় না, কিন্তু সরবরাহে…। আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে বাইরের ওপর।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা আজ সয়াবিন আমদানি করতে বলেছি। আমরা চাচ্ছি যত সম্ভব আমাদের দিক থেকে সাপ্লাইটা আসুক। যাতে ব্যবসায়ীদের কাছে একটা ম্যাসেজ যায় দেশে সরবরাহ…। এখন এটা যাচ্ছে কিনা সেটা আলাদা ব্যাপার।
ভোক্তাদের বলছেন— বাজারে কার্যকর মনিটরিং হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নিচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হলে উপদেষ্টা বলেন, মনিটরিং হচ্ছে না, তা নয়। সবাই মিলে ঠিকঠাক করে, এমনটা বাহিরের দেশে হয় না। কিন্তু এখানে সবাই মিলে তাদের স্বার্থে দাম ঠিক করে বিক্রি করে।
তিনি বলেন, বাজারে ভোক্তা অধিদফতর কত জায়গায় যাবে? কিছুদিন আগে আমি পাবনা গেলাম, সেখানেও একই অবস্থা। ডিসি বলছে আমরা কমিটি করে দিয়েছি। তারা যায় বাজারে। যখন চলে আসে, আবার যে সেই। অতএব মানুষ যদি সচেতন না হয়, মানুষ যদি নিজেরা মনিটরিং করে অভিযোগ করে, তখন আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। আমাদের এখানে হয় কী, সহনশক্তি বেশি, কিনে নিয়ে চলে যায়। কিন্তু বাহিরের ক্রেতা খুব সচেতন থাকে, অভিযোগ করে। পার্শ্ববর্তী ভারতে দেখেন দাম বেড়ে গেলে ওরা প্রটেস্ট করে। আমি এখানে প্রটেস্ট করতে বলছি না, অ্যাটলিস্ট সবাই যাতে বলে। মনিটরিং করে তাও আমরা অনেক সময় খবর পায়, তা দেখি মানুষ সহ্য করে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সবাইকে একসঙ্গে ধরলে বাজারে কৃত্রিম সংকট আরও বেশি হবে। আমরা চাই সবাই ব্যবসা করুক। তবে চাই না অতিরিক্ত লাভ করুক। আর যারা উৎপাদন করে তারা যেন না ঠকে যায়। উৎপাদনের খরচটা যেন তারা পায়, আমরা সেই চেষ্টাই করছি। একটু সময় লাগবে।