themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘দেশের রাজনৈতিক দলগুলো চাইছে— দেশের সংস্কার রাজনৈতিক সরকারের অধীনেই হোক। তাই তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের পরিবর্তে নির্বাচনকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।’
বুধবার সচিবালয়ে ব্রিটিশ গ্লোবাল পার্টনার্স গভর্ন্যান্স (জিপিজি) প্রতিনিধি দলের সদস্য চিলির সাবেক সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী জর্জিও জ্যাকসন বাংলাদেশের সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হবে— জনগণের মধ্যে এমন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। সেই দল যদি সফল হয়, তবে বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যাবে। একটি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দায়িত্ব নিয়েছে। এটি একটি অভিনব ঘটনা, যা এর আগে কখনো ঘটেনি। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমন হয়েছে কিনা, আমার জানা নেই। আমরা এ রকম পরিস্থিতিতে কাজ করার চেষ্টা করছি।’
স্কটিশ পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য লর্ড জেরিমাই পুরভিস অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূলত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সমস্যা, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ স্থাপন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানকে অনেকেই ঠিক মতো ব্যাখ্যা করতে পারছেন না। কীভাবে এত অল্প সময় এত বড় এক স্বৈরশাসকের পতন হলো, তা মানুষও বুঝতে পারছে না। ফলে দেশের ভেতরে এবং বাইরে নানান রকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আন্দোলনটা যে গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থান, তা অনেকেই অস্বীকার করার চেষ্টা করছেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার সংকট চলছে। মানুষ ভোট দিতে পারতো না। কয়েক হাজার মানুষকে গুম করে ফেলা হয়েছে। একটা দমবন্ধ অবস্থার মধ্যে দেশের মানুষ ছিল। তাই মানবাধিকার রক্ষা করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।’