themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114আমেরিকান পডকাস্টার জো রোগান সম্প্রতি একটি পডকাস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাদের সিদ্ধান্ত ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যা বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করছে।
রোগান বলেন, বাইডেন তার মেয়াদের শেষ দিকে ইউক্রেনকে আমেরিকান তৈরি দীর্ঘপাল্লার মিসাইল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তকে ‘বিপর্যয়ের কারণ’ বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, একজন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট কীভাবে এমন বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন যা বিশ্বযুদ্ধ শুরুর কারণ হতে পারে?
বাইডেন সম্প্রতি ইউক্রেনকে আমেরিকার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমস (ATACMS) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। এর আগে, মাসের পর মাস জেলেনস্কি এই উন্নত অস্ত্রের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছিলেন। যুক্তরাজ্যও ইউক্রেনকে স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
এই পদক্ষেপের পর রাশিয়া নতুন হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যা পারমাণবিক বোমা বহন করতে সক্ষম। মস্কো হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এই মিসাইলের ব্যাপক পরিসীমা আমেরিকাকেও লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে, যা পরমাণু সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পথে
জো রোগান সরাসরি ইউক্রেনকে এই সংঘাতের জন্য দায়ী করেন। তিনি জেলেনস্কির বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, জেলেনস্কি বলছেন পুতিন ভীতসন্ত্রস্ত। অথচ আপনারা বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছেন।
বাইডেন প্রশাসনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, একজন বিদায়ী প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এমন বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত আশা করা উচিত নয়।
রোগান আশা প্রকাশ করেন, প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংঘাতের একটি কূটনৈতিক সমাধান আনতে পারেন। ট্রাম্প এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চলের অধিকার বজায় রেখে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আনতে চান। তবে এই প্রস্তাব ইউক্রেন এবং জেলেনস্কি উভয়েই প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জো রোগান ছাড়াও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এই সংঘাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইউক্রেনের সাবেক সামরিক প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি মনে করেন, উত্তর কোরিয়ার সেনা ও ইরানি অস্ত্রের ব্যবহার এই সংঘাতকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিশ্ব নেতাদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।