Headline :
যুদ্ধবিরতির জন্য যেসব প্রধান শর্ত দিল হামাস প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে মেডিকেল অক্সিজেন শাপলা প্রতীক চেয়ে ইসিতে আবারও চিঠি দিল এনসিপি কেউ যদি বাহুবলে কথা বলে তার পরিণতি হাসিনার মতোই হবে : সালাহউদ্দিন ইউনেস্কো সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত বাংলাদেশ আবরার ফাহাদের শাহাদত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বড়ো প্রেরণা : তথ্য উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করে হারলো টাইগ্রেসরা বদলি ও পদায়নে নতুন নির্দেশনা মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠায় বাধা দানকারীরাই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু’

ড. ইউনূসের ইমেজ কাজে লাগিয়ে টাকা ফেরত আনা সম্ভব

Reporter Name / ১৩৩ Time View
Update : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

অর্থপাচার নিয়ে প্রথমেই যেটা বলতে চাই তা হলো, বাংলাদেশ থেকে বড় অঙ্কের টাকা বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকার কারণে এটুকু জানি। যদিও আমি উপদেষ্টা বা অর্থনীতিবিদ হিসেবে যা দেখেছি, জেনেছি। তবে ভেতরের মানুষগুলোর এ ব্যাপারে আমার চেয়ে জ্ঞান-বুদ্ধি বেশি।

তারা আমাকে যেটা বলত, তা হলো পাচারকারীরা তাদের পাচারের একটি অংশ ব্রিফকেস দিয়ে নগদ ডলার হিসেবে নিয়ে যেত। বলা যায়, ক্যাশ ডলারটাই বাজার থেকে চলে যেত। একটি ব্রিফকেসে কয়েক লাখ ডলার নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর যারা এ ডলার পাচার করেছে এটা এমন না যে হাজার হাজার কোটি টাকা একবারে পাচার করেছে। এটা সম্ভব নয়। এ চক্রটি নিয়মিতই এটা করে। এমনকি প্রতি সপ্তাহেই তারা এভাবে একটা ডলার নিয়ে যেত। আমরা নিউইয়র্কে দেখি, পাচারকারীদের অনেকেই এখানে এসে ক্যাশ টাকায় বাড়ি কিনে ফেলছে।

সোজা হিসাব। তারা কোনো মর্গেজে বা অন্য কোনো উপায়ে যাচ্ছে না। টাকা পাচারে এর বাইরেও আরো অনেক উপায় নিশ্চয়ই আছে। এখন যদি টাকা ফেরানোর উপায় নিয়ে কথা বলি তাহলে আমার কথা হলো টাকাগুলো ফেরানোর সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। যারা পাচার করেছে, তারা তো টাকাটা নিশ্চিত করে ফেলেছে।

একটা বাড়ি কিনে ফেলেছে। বাড়িটা তো আর তুলে আনা যাবে না। যেমন- অনেকেই সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, দুবাই বা আরো অনেক দেশেই বাড়ি কিনেছে। ওই সব দেশের সরকার এভাবে ডলার নিয়ে যাওয়া উৎসাহিত করে। তারা চায়, তাদের দেশে ডলারপ্রবাহ বাড়ুক। কারণ এটা তাদের লাভ। এতে তাদের ডলারের মজুদ বাড়ে। তারা তো ঘোষণাই করেছে যে বিনিয়োগ করলে তারা সুবিধা দেবে। এখন সুবিধা দিয়ে তো আর খুচাবে না। এখন আমরা যদি এটা ফিরিয়ে আনতে চাই, তাহলে ওদের স্বার্থ নষ্ট হবে। তারা তা হতে দেবে কেন? এভাবে হবে না।
তবে একটি উপায় আছে, তা হলো জিটুজি বা সরকার টু সরকার পদ্ধতি।

সম্পর্কের ভিত্তিতে সরকার-সরকার আলোচনা করে একটি অংশ ফেরত আনতে পারে। ওই সরকারকে বোঝাতে হবে যে টাকাটা অবৈধ উপায়ে তারা আয় করে তা অন্যায়ভাবে নিয়ে গেছে। তখন ওই সরকার যদি সহানুভূতিশীল হয়, তখন আইনের ফাঁকফোকর দেখে হয়তো পাচারের কিছু অংশ দিলেও দিতে পারে। এর বাইরে পাচারকারী ওই সব দেশে তাদের বিনিয়োগ নিয়ে কোনো ঝুঁকিতে নেই। আইনেই তাদের সুরক্ষা দেওয়া আছে।

কেউ যদি সিঙ্গাপুরে টাকা নিয়ে যায়, ওই দেশের সরকারপ্রধান খুশি হয়ে তাকে ডিনারেও ডাকতে পারে। কিন্তু সেখানে বরফ গলতে পারে যদি প্রফেসর ইউনূস গিয়ে তাকে বলে যে, আমাদের এ রকম একটা লোক এভাবে টাকাটা নিয়ে এসেছে; আমাদের হেল্প করো। কিছু তোমরা রাখো, বাকিটা আমাদের ফেরত দিয়ে দাও। এভাবে হতে পারে। মোট কথা ড. ইউনূসের ইমেজ কাজে লাগিয়ে পাচারের টাকা ফেরত আনা সম্ভব।

লেখক : সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
deneme bonusu veren siteler - canlı bahis siteleri - casino siteleri casino siteleri deneme bonusu veren siteler canlı casino siteleri
deneme bonusu veren siteler - canlı bahis siteleri - casino siteleri casino siteleri deneme bonusu veren siteler canlı casino siteleri