ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যায় গত বছর সিরিয়াকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে মিয়ানমার।
ল্যান্ডমাইন নিষিদ্ধকরণের জন্য আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু ব্যান ল্যান্ডমাইনস’ প্রকাশিত গবেষণা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গবেষণা ফলাফলে সতর্ক করা হয়েছে যে, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট সংঘাতের ফলে মিয়ানমারে ব্যাপক ল্যান্ডমাইন ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির রাজধানী নাইপিদো ছাড়া প্রতিটি রাজ্য এবং অঞ্চলে হতাহতের ঘটনার রেকর্ড নেওয়া হয়েছে এ গবেষণায়।
টানা তিন বছর ধরে ল্যান্ডমাইনে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সিরিয়ায়। তবে গত বছর মিয়ানমারে সিরিয়ার চেয়েও বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ তালিকায় ইউক্রেন এবং আফগানিস্তান রয়েছে যথাক্রমে বিশ্বে তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় ল্যান্ডমাইনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অভ্যুত্থানের পর অনেক সাধারণ মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়েছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং সামরিক সহিংসতা বন্ধ করার জন্য পিপলস ডিফেন্স ফোর্স গঠন করা হয়েছে দেশটিতে। দীর্ঘদিন ধরে অধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি করে আসা জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
ল্যান্ডমাইন মনিটর ২০২৪-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ল্যান্ডমাইন উভয়পক্ষই ব্যবহার করেছে— সামরিক জান্তা এবং তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।
প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে সামরিক বাহিনীর স্থাপন করা ল্যান্ডমাইনে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শিশুও রয়েছে। আরও বলা হয়েছে যে, ল্যান্ডমাইন আক্রান্ত এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে জান্তা বাহিনী।