themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির আহমেদ রিজভী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ফলে ভারত শোকাহত। ভারত শেখ হাসিনার জন্য খুব কষ্ট পেয়েছে। ভারতকে বলব— শেখ হাসিনার প্রতি যদি এত মায়া… তাহলে ভারতে তার জন্য আরেকটা তাজমহল তৈরি করুন।’
তিনি বলেন, ‘ভারত যড়ষন্ত্র করছে শেখ হাসিনাকে আবারও দেশে ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসানোর। ভারতীয় মিডিয়া একটি স্বাধীন দেশ নিয়ে অপ্রচার চালাচ্ছে শুধু শেখ হাসিনার জন্য।’
আজ রবিবার বিকালে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের চতুর্থ খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেল জুলুমকে মেনে নিয়ে দেশেই ছিলেন এবং আছেন। আর শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের রেখে ভারতে পালিয়ে গেছেন। এটাই হলো শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য।’
তিনি বলেন, ‘অনেক যড়ষন্ত্র হচ্ছে, তাই সতর্ক থাকতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অচিরেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। একজন মেয়রের বাড়ি থেকে ভাত আনতে রাষ্ট্রের মাসে ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়। এটা ভাবা যায়… দুর্নীতি কত হয়েছে তাহলে?’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে বিনা ভোটে আওয়ামী লীগ জনগণের গণতন্ত্র হরণ করে তাদের নিজস্ব লোকজনকে লুটপাটের সুযোগ দিয়েছে। পুলিশের একজন আইজি হাজার কোটি টাকার মালিক, আর একজন মন্ত্রীর দেশের বাইরে ২৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়ি!’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছেন, বিরোধী মতের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। শেখ হাসিনা নিজের ইচ্ছামতো দেশ পরিচালনা করেছেন ও ব্যাংক লুট করেছেন। শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু, এখন ভারতে পলাতক থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। তাই ফ্যাসিবাদ ফের যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে, সেই বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তাহলেই ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ সার্থক হবে।’
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক একেএম মমিনুল হক বক্তব্য রাখেন।