ইউক্রেনে পরমাণু বোমা হামলা চালানোর খুবই সন্নিকটে চলে গিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০২২ সালের অক্টোবরে তিনি এই হামলা চালানোর দ্বারপ্রান্তে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ভয়াবহ এই কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন।
জানা গেছে, পুতিন ইউক্রেনে পরমাণু বোমা হামলার এতই কাছাকাছি ছিলেন যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য পেয়ে ব্রিটেন তখন সেই হামলার পরিণতির বিষয়ে প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। তখন ব্রিটেনেন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিজ ট্রাস। যদিও তিনি অল্প কিছু দিনের জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, তবে অফিসের শেষ দিনগুলোতে তিনি আবহাওয়ার মানচিত্র পরীক্ষা এবং ব্রিটেনের বিকিরণ সংক্রান্ত তথ্যাদি পর্যালোচনা করছিলেন।
‘আউট অব দ্য ব্লু’ শিরোনামে লিজ ট্রাসের একটি আপডেট প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ওই প্রতিবেদনে ইউক্রেন যুদ্ধ কীভাবে আরও বিধ্বংসী হতে যাচ্ছিল, তার মর্মান্তিক বিবরণ উন্মোচিত হয়েছে।
ব্রিটেনের স্বল্পকালীন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ওই সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ‘ভুল আবহাওয়ার ধরণ’-এর কারণে ব্রিটেনের উপর ওই হামলার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে তিনি শেষ দিনগুলোতে অনেক ঘণ্টা ব্যয় করেছেন স্যাটেলাইট আবহাওয়ার তথ্য এবং বাতাসের দিকনির্দেশ অধ্যয়ন করতে।
বিষয়টি এমন সময় প্রকাশ্যে এল যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ইউক্রেনের দখলকৃত কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য পুতিন ৫০ হাজার রুশ ও উত্তর কোরিয়ান সেনা মোতায়েন করেছেন।
ইউক্রেনের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কমান্ডার বলেছেন, ‘হাজার হাজার শত্রু সৈন্য’ কিয়েভের বাহিনীকে কুরস্ক ছিটমহল থেকে বিতাড়িত করতে এসেছে। সেখানে আগামী মাসে সংঘাত আরও গুরুতরভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। পশ্চিমারাও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আসার আগেই কুরস্ক অঞ্চলটি পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে চায় রাশিয়া। ন্যাটো মিত্রদের মতে, এরপর পুতিন হয়তো যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারেন।
জানা গেছে, ট্রাম্প গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর পুতিনের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। সে সময় তিনি রুশ প্রেসিডেন্টকে যুদ্ধ বাড়ানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করেন।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, গত আগস্টে ইউক্রেনের কাছে হারানো কুরস্কের প্রায় অর্ধেক ভূখণ্ড রাশিয়া ইতোমধ্যেই পুনরুদ্ধার করেছে।