মুজিববর্ষের নামে অর্থ অপচয়ের ডকুমেন্টেশন হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

Reporter Name / ১৬৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪

শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকীর নামে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার মুজিববর্ষ নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করে। এ কর্মসূচির নামে রাষ্ট্রের টাকা ব্যাপক অপচয় করা হয়। কোন মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচির নামে কত টাকা খরচ করেছে তার একটি ডুকমেন্টেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সস্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এর আগে সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শফিকুল আলম বলেন, আপনারা জানেন মুজিববর্ষকে ঘিরে কিভাবে একটা একটা উন্মাদনা হয়েছে। মুজিববর্ষে কি ধরনের কাজ হয়েছে, কত টাকা অপচয় হয়েছে সেটা নিয়ে ডকুমেন্ট করার কথা উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। মুজিববর্ষের নামে কোন মন্ত্রণালয় কত টাকা খরচ করেছে তা নিয়ে ডকুমেন্টেশন হবে। মুজিববর্ষের নামে কোন কোন মন্ত্রণালয় কী কী খাতে কত টাকা অপচয় করেছে তার একটা তালিকা করা হবে।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা যেখানে ঋণের জন্য আইএমএফ-এর কাছে হাত পাতছি। আইএমএফ-এর কাছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চাচ্ছি। সেখানে মুজিববর্ষের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করছি-কিছু ম্যুরাল বানিয়ে কিছু স্ট্যাচু বানিয়ে। শুধুমাত্র সরকারি কোষাগার থেকে টাকা গেছে বিষয়টা তা না।

তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও জোর করা হয়েছে, ফলে কেউ মুজিব কর্নার করেছে কেউ মুজিবের ম্যুরাল বানাতে বাধ্য হয়েছেন। মুজিববাদকে সামনে রেখে টাকা খরচের যে একটা উন্মাদনা ছিল। কত টাকা অপচয় হয়েছে তা জানার জন্য ডকুমেন্টেশন করা হবে। এই সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের উপদেষ্টার পরিষদে।

টাকা অপচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা একটা পত্রিকায় রিপোর্ট দেখেছি সেটা যাচাই করতে পারিনি। পত্রিকাটি বলছে, শুধু ম্যুরাল বানানোর নামে চার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ১০ হাজার মূর্তি বানানো হয়েছে।

মুজিববর্ষে যে সব আমলা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগে ডকুমেন্টেশন হোক তার পরে দেখা যাবে কি করা যায়। ডকুমেন্টেশনের পরে দেখতে পাব কি পরিমাণে অপচয় হয়েছে। এসব টাকা কিন্তু করদাতাদের টাকা। এই টাকা কিভাবে ব্যয় হলো অবশ্যই আমরা দেখবো। আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন পদ্মাসেতুতে দু’টি ম্যূরালের জন্য ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে চিন্তা করা যায়?

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আরও বলেন, বাতিল হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি আইন। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে উচ্চ ক্ষমতার কমিটি হবে। জরুরি ওষুধের দাম দরিদ্র মানুষের হাতের নাগালে আনতে এসেনশিয়াল ড্রাগের তালিকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
deneme bonusu veren siteler - canlı bahis siteleri - casino siteleri casino siteleri deneme bonusu veren siteler canlı casino siteleri
deneme bonusu veren siteler - canlı bahis siteleri - casino siteleri casino siteleri deneme bonusu veren siteler canlı casino siteleri