themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পৌঁছেছে একেবারে দোরগোড়ায়। আর মাত্র দুদিন পরই অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। আর এই শেষ মুহূর্তে এসে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে জনমত জরিপে এগিয়ে গেছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক জরিপের ফলাফল প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক চিত্রে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই জরিপে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর সামান্য এগিয়ে রয়েছেন। তবে ভোটাররা উভয় প্রার্থীকে নিয়ে অসন্তুষ্ট, এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এর ফলে আগামী নির্বাচনে প্রার্থীদের পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি এবং সমর্থনের ব্যাপারে ভোটারদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জরিপের ফলাফলগুলো প্রকাশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বছর নির্বাচনী প্রতিযোগিতা আরও উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলেছে।
সিএনএনের খবর অনুসারে, এবিসি নিউজ/আইপসের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সমর্থন কিছুটা বেড়েছে। জরিপ অনুযায়ী, ৪৯% ভোটার হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন, যেখানে ৪৬% ভোটার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন। গত সপ্তাহে প্রকাশিত পূর্ববর্তী জরিপেও কমলা হ্যারিসের সমর্থন ছিল ৫১% এবং ট্রাম্পের ৪৭%।
এবিসি/আইপসের জরিপে প্রতিফলিত হয়েছে, ভোটাররা তাদের নির্বাচনী বিকল্প নিয়ে অসন্তুষ্ট। ৬০% ভোটারই জানিয়েছেন, তারা প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিস এবং ট্রাম্পের নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে অতি সন্তুষ্ট নন। প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভোটার মনে করছেন, দেশটি ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে (৭৪%)।
প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিস এবং ট্রাম্পের পরিবর্তন আনার ক্ষমতা সম্পর্কে ভোটারদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। ৫১% ভোটার মনে করেন, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে ‘কিছুটা খারাপভাবে পরিস্থিতি বদল করবেন, আর ৩১% ভোটার হ্যারিসের ক্ষেত্রেও একই মত প্রকাশ করেছেন। তবে ট্রাম্পের পরিবর্তনকে ৪৫% ভোটার ইতিবাচক মনে করেন, যেখানে হ্যারিসের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৩৫%। ৩৪% ভোটার মনে করেন, হ্যারিস পরিস্থিতিকে প্রায় অপরিবর্তিত রাখবেন, আর ৪% ভোটার মনে করেন ট্রাম্প নির্বাচিত হলে পরিস্থিতি একই থাকবে।
অন্যান্য জরিপে, জাতীয় পর্যায়ে বেশি ভোটার মনে করেন, হ্যারিস তাদের কাছে ভোট চেয়েছেন (৪৫% ভোটার বলেছেন হ্যারিস ভোট চেয়েছেন, ৪০% বলেছেন ট্রাম্প চেয়েছেন)। গুরুত্বপূর্ণ সাতটি রাজ্যে ৬৭% ভোটার জানিয়েছেন, তারা হ্যারিসের প্রচারাভিযান থেকে যোগাযোগ পেয়েছেন, যেখানে ৬০% ভোটার বলেছেন ট্রাম্পের প্রচারাভিযান থেকে যোগাযোগ পেয়েছেন।
এদিকে, নতুন জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, সিএনএন জরিপের সর্বশেষ গড় দেখাচ্ছে, ৪৮% ভোটার হ্যারিসকে সমর্থন করছেন এবং ৪৭% ট্রাম্পকে, যা আগের গড়ের সাথে অপরিবর্তিত।