বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে পটুয়াখালী উপকূল জুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে জেলার সর্বত্রই হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে থেমে থেমে মৃদু দমকা বাতাস বইছে।
সাগর উত্তাল হওয়ায় সাগর ও নদী বেষ্টিত উপজেলা রাঙ্গাবালী, কলাপাড়া, দশমিনাসহ চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়টি পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে। এটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩
নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। এর প্রভাবে বুধবার থেকেই হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় গভীর সাগর ও নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আখতার জাহান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪
ঘণ্টায় ৬৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে আজ দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ২৫
মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় পটুয়াখালী জেলায় ৮২৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ জন আশ্রয়কারী মানুষ। এ ছাড়াও প্রস্তুত রয়েছে নগদ অর্থ ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা, জিআর ৮০০ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারসহ মেডিকেল টিম, পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও স্বেচ্ছাসেবক টিম।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণের জানমাল রক্ষাসহ পরবর্তীতে সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলাগুলোতে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।