আব্বুকে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা হয়নি : হারিছ কন্যা

Reporter Name / ১১১ Time View
Update : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীকে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী।

আজ সোমবার দুপুরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগ ডিএনএ নমুনা দেওয়া শেষে তিনি এ কথা জানান।

সামিরা তানজিন চৌধুরী বলেন, ‌‘সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ আমার রক্তের নমুনা নিয়েছে আজকে। আমার বাবা মরহুম আব্দুল হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর আমার বাবার মরদেহ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর সিআইডি আজকে আমাকে ডেকেছে, আমার নমুনা সংগ্রহ করার জন্য। এখন আব্বুর ডিএনএ’র ম্যাপিং চলছে। আমার ডিএনএ’র নমুনার সঙ্গে আব্বুর ডিএনএ’র নমুনা মেলাবে। এরপর সিআইডি এই নমুনা মেলানোর ফলাফল দিবে। সিআইডি আমাকে বলেছে- এই প্রক্রিয়ার সম্পন্ন হতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগবে। তবে প্রক্রিয়াটা জটিল, তারা আমাকে বলেছে- যত দ্রুত সম্ভব তারা এটা সম্পন্ন করবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে বলেন, ‘আমি বলেছি আমার বাবা মারা গেছেন, কিন্তু গত সরকার এটা মেনে নেয়নি। তাহলে কি আমার বাবাকে আমি জীবিত রেখে দিব, তা নাহলে কাউকে আমার বাবাকে খুঁজে দিতে হবে। আমার বাবা তো নিরুদ্দেশ থাকতে পারেন না। কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলে এটার একটি সার্টিফিকেট লাগবে। তিনি তো যেমন তেমন মানুষ ছিলেন না, তার মৃত্যুর বিষয়টা তো প্রমাণিত হতে হবে। যেকোনো মানুষেরও মানবিক অধিকার থাকে। আমার আব্বুর মানবিক অধিকার রক্ষা হয়নি।’

আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার আব্বুর মরদেহ আমি আমার দাদুর বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আমি দেখলাম গণমাধ্যম অহরহ রিপোর্ট করছে- মাহমুদুর রহমান নামে হারিছ চৌধুরীর দাফন। এটা আসলে সঠিক নয়। আমার প্রশ্ন, কে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করেছে। আমি তো শুধু জানি আমি আমার বাবার মরদেহ নিয়ে গিয়েছি, সেখানে দাফন হয়েছে। ওখানে যারা দাফন করেছেন তাদের সঙ্গে আমার কখনো কথা হয়নি। ওইখানের হুজুর মহিলা মানুষের সঙ্গে কথা বলেন না, সেটা আমাকে বলা হয়েছিল। আমি তখন সদ্য মৃত বাবার মরদেহ বুকে করে নিয়ে যাওয়া মেয়ে। সে সময় আমি তো কাউকে কিছু বলিনি।’

তিনি বলেন, ‘যখন বিষয়টি সবার সামনে আসে, তখন দুইজন সাংবাদিক আমার কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন আমি এ বিষয়ে কথা বলি। আমি তো ওইভাবে কাউকে চিনি না। আমি যখন তাদের সঙ্গে কথা বলি, তখন আমি তাদেরকে বলেছি- হ্যাঁ আব্বু মারা গিয়েছেন। আব্বুর দাফন হয়েছে, আপনারা যা শুনছেন তা সত্যি। আগের সরকারের প্রতিহিংসার পাত্র ছিল আমার আব্বু। তখনকার সময়ে বিরোধীদলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক মামলা হয়েছে। আমার আব্বু গত সরকারের আমলে নির্যাতিত হওয়ার মধ্যে অন্যতম একজন। এ কারণে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন, কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে চলে যাননি। তখন ওই সরকারের পক্ষ থেকে অপপ্রচার চালানো হয় যে, হারিছ চৌধুরী লন্ডনে মারা গেছেন, আবার কেউ কেউ বলেন যে তিনি মারা যাসনি। তারা মিথ্যা কথা বলেছে, যাতে করে ইন্টারপোল থেকে নাম সরানো যায়, যা ইচ্ছা তাই খবর ছড়ানো হলো আব্বুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে।’

আপনি আপনার বাবাকে দাফন করেছেন, তারপরও এখন ডিএনএ নমুনা দিতে হচ্ছে। এই বিড়ম্বনার পিছনে কারা দায়ী- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই বিড়ম্বনার জন্য গত সরকার দায়ী। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত প্রশাসন এর জন্য দায়ী। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি এবং স্বৈরাচারমূলক আচরণের কারণে আমাকে এই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
deneme bonusu veren siteler - canlı bahis siteleri - casino siteleri casino siteleri deneme bonusu veren siteler canlı casino siteleri
deneme bonusu veren siteler - canlı bahis siteleri - casino siteleri casino siteleri deneme bonusu veren siteler canlı casino siteleri