themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনেক দিন ধরেই অবৈধ অভিবাসনের ব্যাপারে বেশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছে, ইউরোপীয় কন্টিনেন্টে অভিবাসীদের নিয়ে বৈরি রাজনৈতিক আলোচনা স্বত্ত্বেও ব্রিটেনসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে বসবাসকারী অনিয়মিত অভিবাসীদের সংখ্যা একই রকম রয়েছে। অর্থাৎ কঠোর বিধিনিষেধ সত্ত্বেও অভিবাসীর পরিমাণ কমেনি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা সংস্থার মাইগ্রেশন গবেষকরা ইরেগুলার মাইগ্রেশন নিয়ে এই গবেষণা চালিয়েছে। তারা বলেছে, কিছু মানুষ নির্বাসনে যাওয়ার ভয়ে রাডারের বাইরে বাস করছে। তাই সম্পূর্ণ নির্ভুল তথ্য পাওয়া অসম্ভব। তবে তারা যে সিস্টেমে গবেষণা করেছে সেটা একটা সঠিক অনুমান তৈরি করতে পারে। গবেষকরা দেখেছেন ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য সহ ১২টি ইউরোপীয় দেশে ২.৬ মিলিয়ন থেকে ৩.২ মিলিয়ন অনিয়মিত অভিবাসী ছিল। এই সংখ্যা এসব দেশের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশের কিছু কম।
২০০৮ সালে ১২টি ইউরোপীয় দেশে অনিয়মিত অভিবাসী সংখ্যা ছিল ১.৮ মিলিয়ন থেকে ৩.৮ মিলিয়ন। সামগ্রিকভাবে ২০০৮ সালে ইউরোপীয় মাইগ্রেশন ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তন স্বত্ত্বেও এসব দেশে অনিয়মিত অভিবাসী সংখ্যা কমেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসাইলাম সিকার, পাচারের শিকার এবং নথিভুক্ত অভিবাসীসহ যুক্তরাজ্যে অনিয়মিত অভিবাসী সংখ্যা ৫ লাখ ৯৪ হাজার থেকে ৭ লাখ ৪৫ হাজার হতে পারে।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক বছরে যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের নির্বাচনে মাইগ্রেশন একটি মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনীতিবিদরা অভিবাসন বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই পলিসি অনেক ভোটারদের কাছে টানছে। ফলে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই মাইগ্রেশনের ব্যাপারে বেশ কঠোর।
এদিকে গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, একক দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি অনিয়মিত অভিবাসী রয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ফিনল্যান্ডে সবচেয়ে কম ইরেগুলার অভিবাসী রয়েছে। ২০০৮ সালের পর অস্ট্রিয়া, জার্মানি এবং স্পেনে অভিবাসী বেড়েছে। অন্যদিকে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী সংখ্যা একই রকম রয়ে গেছে। এছাড়া ফিনল্যান্ড, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং পোল্যান্ডে অভিবাসী সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।